পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ४२ ] পাওয়া পণ্ডশ্রম মাত্র। অনেক সময়ে অবস্থাক্রমে অনেকে সন্ন্যাসাশ্রম অবলম্বন পূৰ্ব্বক বনে বাস করেন বটে, কিন্তু মনে কামিনী উদ্দেশ্য থাকায় যে সময়ে কামিনী উদ্দীপক কারণস্বরূপ হয়, সেই সময়ে তাহার সাধন ভজন, ধ্যান ধারণা একেবারে ছিন্ন ভিন্ন হইয়া যায় । কোন বনে এক সাধু বাস করিতেন। সাধুর গুণগ্রাম গ্রামব্যাপীছিল, সুতরাং মধ্যে মধ্যে অনেকে তাহাকে দর্শন করিতে যাইতেন । একদ। কোন অনুরাগিনী সন্ন্যাসিনী সাধুজীর নাম শ্রবণপূৰ্ব্বক দর্শন লাভের নিমিত্ত তথায় উপস্থিত হইয়াছিলেন। সৰ্ব্বপ্রথমে সাধুর শিষ্যবৃন্দদিগের সহিত সাক্ষাৎ হয়। সন্ন্যাসিনীর রূপ দর্শন করিয়া শিষ্য সকলে বিমোহিত হইয়া নানাবিধ ইঙ্গিত ইসারা দ্বারা কুৎসিত ভাব প্রকাশ করেন, কিন্তু সন্ন্যাসিনী সে দিকে দৃকপাত না করিয়া সাধুর নিকটে গমন পূৰ্ব্বক সাষ্ঠাঙ্গে প্ৰণিপাত করিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে কহিলেন, প্রভু ! আমি অতিশয় দীনহীনা, আপনার নাম শুনিয়া চরণে স্থান প্রত্যাশায় আগমন করিয়াছি। আশীৰ্ব্বাদ করুন, যেন ভগবানের প্রতি আমার অচলা ভক্তি থাকে। সাধু সন্ন্যাসিনীর মুখের দিকে চাহিয়া একেবারে উন্মাদের ন্যায় হইয়া পড়িলেন । তাহার নিজ অবস্থা বিস্মৃত হইলেন, তিনি কামিনীত্যাগী হইয়৷ ধ্যান করিবার অভিপ্রায়ে বনবাসী হইয়াছেন, তাহা ভুল হইয়া গেল, তিনি অতি পুলকে বলিলেন, ভগবান তোমার প্রতি প্রসন্ন হইয়াছেন, সেই জন্য আমার নিকট তুমি আসিতে পারি য়াছ । তোমার কথা শুনিয়া এবং তোমাকে দেখিয়া আমি যারপরনাই আনন্দিত হইয়াছি। বনে আসিয়া এমন শুভদিন আমার ভাগ্যে কখন হয় নাই । তোমার অনুরাগ দেখিয়া আমার অনুরাগ বৃদ্ধি হইয়। গিয়াছে। এত গুলি শিষ্য সেবক আছে এবং সময়ে সময়ে কত সাধু শাস্ত এবং তীর্থাদি পৰ্য্যটকগণ আসিয়া থাকেন, কিন্তু কাহাকে দেখিয়া