পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ رهسوا ] অদ্যকার স্তায় আমার প্রেমানন্দ প্রস্ফুটিত হয় নাই। তুমি স্বচ্ছন্দে আমার আশ্রমে বাস কর । সন্ন্যাসিনী সাধুর কথা শ্রবণ করিয়া তাহার হৃদয়ের ভাব বুঝিয়াছিলেন। তিনি বিনীতভাবে কহিলেন, সাধুজী ! আপনার অপার করুণ, তজ্জন্য আমি বিশেষ প্রীতি লাভ করিলাম । কিন্তু আমি নিতান্ত পাপিনী, আমার মানসিক দৌৰ্ব্বল্য অদ্যাপি বলবতী আছে, আমি সাধুর আশ্রমে বাস করিবার অধিকারিনী হই নাই। রুপ করুন, যেন শীঘ্র সেরূপ অবস্থা লাভ করিতে পারি। সাধু সন্ন্যাসিনীর কথার মৰ্ম্ম বুঝিতে না পারিয়া কহিলেন, আপনার অবস্থা আপনি বুঝা যায় না । তুমি সাধুর সেবার প্রকৃত অবস্থা লাভ করিয়াছ, অতএব আমার সেবায় তুমিই একমাত্র অধিকারিণী। বল, আমার সেবায় কি তুমি নিযুক্ত হইবে ? সন্ন্যাসিনী তথাপি কহিলেন, মহাশয় ! সন্ন্যাসী আপনি, আপনার সেবায় স্ত্রীলোক থাকিবে কেন ? সেবকেরা সে কার্য্যের অধিকারী। যাহা হউক, আমায় আশীৰ্ব্বাদ করুন, যেন সাধুর চরণে আমার ভক্তি থাকে। সন্ন্যাসী দণ্ডায়মান হইয়া বাহ প্রসারণ পূৰ্ব্বক কহিলেন, অল্পবয়স তোমার, সুতরাং বুদ্ধিও অল্প, বহুদর্শন নাই, দর্শনশাস্ত্রাদিও দর্শন কর নাই, তত্ত্ব নিরূপণ সম্বন্ধে অতি অল্পই অধিকার জন্মিয়াছে। বনে বনে ভ্রমণ করিলে কি হইবে ? আমি বনে বাস করিতেছি, নানাবিধ কঠোর সাধনা করিয়াছি এবং অদ্যাপি করিতেছি, কিছুতেই কিছু নাই। শুনিয়াছ কি, যে সেবাই একমাত্র সাধনা, সেবা ব্যতীত কোন ফল হয় না এবং হইবার নহে, এই জন্য তোমায় কৃপা করিয়া আমি সেবাদাসী করিতে ইচ্ছা করিয়াছি । দীনহীন। বলিয়া, শরণাগত হইলে বলিয়া, আমি কৃপা করিয়া তোমাকে এমন কি আলিঙ্গন দিতেও অগ্রসর হইয়াছি। এই বলিয়া সন্ন্যাসিনীকে ম্পর্শ করিতে উদ্যত হইলেন । তেজস্বিনী অমনি অতি গম্ভীর স্বরে