পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 8 ] কহিতে লাগিলেন, সাধু সাবধান হও । তোমার অভিপ্রায় আমি ইতিপূৰ্ব্বেই বুঝিয়াছি। মনে করিও না যে, আমি স্ত্রীলোক বলিয়া একেবারে কাণ্ডজ্ঞানহীনা। আমি যখন বনে বাহির হইয়াছি, তখন আমার শক্তি না বুঝিয়া সে ব্রত গ্রহণ করি নাই । বনে বাঘ ভাল্লুক হিংস্ৰক জন্তু বাস করে, তাহ আমি জানি এবং তাহা হইতে রক্ষ পাইবার নিমিত্ত মহামন্ত্ররূপ কবচ সৰ্ব্বাঙ্গে আবৃত করিয়া রাখিয়াছি । হিংস্ৰক পশুদিগের সামর্থ্য কি যে, সে কবচ ছিন্ন করিয়া আমার অঙ্গ স্পর্শ করিতে পারে । এই বলিয়া সন্ন্যাসিনী প্রস্থান করিতে চেষ্টা পাইলেন, কিন্তু সন্ন্যাসী বাহু প্রসারণ পূর্বক তাহার গতিরোধ করিলেন। তখন সেই তরুণ হরিপ্রেমাকাঙ্ক্ষিণী অনুরাগিণী আরক্তিম নয়নে ক্ৰকুট করিয়া কহিলেন, অবোধ ! মূৰ্খ! তোর এবিড়ম্বন কেন ? তোর অদ্যাপি মনের বল হয় নাই, অদ্যাপি কামিনীর গন্ধে কামান্ধ হইয়া পশুবৎ কায্য করিতে প্রবৃত্ত হইতে ইচ্ছা হয়, তোর সন্ন্যাসী হওয়া কেন ? কেন বিভূতির অপমাননা করিতেছিস্ ! কেন জটাভার বহন করিতেছিস্ । কেন এতগুলো ব্যক্তির হৃদয় কলুষিত করিতেছিস্ ? কেন পবিত্র সন্ন্যাস ভাব বিকৃত করিতেছিস্ ? কে তোকে সন্ন্যাস দিয়াছিল ? আমি তাহাকে শতবার তিরস্কার করি । তোর মনের এত নিম্ন গতি, তোকে যখন বহিদৃষ্টিতে বিমূর্ণিত করিয়৷ দেয়, আত্মহারা করিয়া ফেলে, তখন তোর অন্তদৃষ্টি কোথায় ? অস্তদৃষ্টি ন হইলে পূর্ণ মন হওয়া যায় না। যাহার অন্তর দর্শন করিবার শক্তি লাভ হয়, সেই সন্ন্যাসের পাত্র এবং তাহারই বনে বাস সস্তবে । এ কথ কি গুরু মুখে শুনিস নাই, শাস্ত্রের পাতায় দর্শন করিস নাই ? যাহার বহিদৰ্শন স্থগিত হয়, বাহিরের পদার্থ দেখিবার যাহার শক্তি থাকে নী, জামড়া অঁাবের পাথক্য জ্ঞান যাহার থাকে না, মেয়ে পুরুষের ভেদজ্ঞান