পাতা:রামচন্দ্রের বক্তৃতাবলী (দ্বিতীয় ভাগ).pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ビa ] যাহার রহিত হয়, তাহারই মানসচক্ষু প্রস্ফুটিত হয়। তাহারই অন্তরদর্শনেন্দ্রিয় সপ্রকাশিত হয়, সেই ধ্যানের একমাত্র অধিকারী । একথা গুরু মুখে না শুনিয়া, না প্রত্যক্ষ করিয়া, না বুঝিয়া বনে আসিয়াছিস্ ? আমাতে কি দর্শন করিলি ? আমার কি দেখিলি ? অামার কি দেখিয়া পরমপদ পরিত্যাগ পূর্বক উন্মাদবৎ হইয়াছিস্ ? বুঝিয়া দেখ ! তোর মনের গতি কোথায় ? গুরুমুখে শুনিস্ নাই যে, ইন্দ্রিয়ে মন নামিয়া আসিলে তাহাকে জীব কহে । ইন্দ্রিয়ে মন থাকিলে সে মনে আর ঈশ্বরের বাস সম্ভবে না। যে ঈশ্বর চাহে, তাহার মন কখন কোন কারণে ইন্দ্রিয়াদিতে যাইবে না। এই জন্য ইন্দ্রিয় নিগ্রহ করা সাধকের প্রথম সাধনা । ইন্দ্রিয়ের রাজ্যে বাস করিয়া ইন্দ্রিয় নিগ্ৰহ করা যায় না। যেমন কোন রাজার রাজ্যে থাকিয়। রাজার প্রতিকুলতাচরণ করা সাজে না, তেমনি সংসারে বসিয়া সংসারের নিগ্ৰহ কর। একেবারেই অসম্ভব । সেই জন্য সংসার ত্যাগ করা সন্ন্যাসীর নিয়ম । তুই সেই নিয়ম ভঙ্গ করিতে উদ্যত হইয়াছিস্ । তোর স্থান বনে নহে । যা ! পামর যা ! লোকালয়ে যা ! পামর ! যা কামিনীর পদসেবা করিয়া জীবনের অবশিষ্ট দিবসকয়েক অতিবাহিত করিয়া যা । হায়! কি লজ্জার কথা ! তুই যে থুতু একবার ফেলিয়া দিয়াছিস, সেই থুতু যত্বপূৰ্ব্বক পুনরায় ভক্ষণ করিতে সাধ করিয়াছিস্ ? সাধু এই সকল কথা শ্রবণ পূৰ্ব্বক সরোদনে সন্ন্যাসিনীর চরণ ধারণ করিয়া বলিতে লাগিলেন, মাগো ! কে তুমি ? তোমার পরিচয় দাও । তুমি কি ভগবতী ? তাহা না হইলে সামান্য নারীর কখন কি এপ্রকার শক্তি সম্ভবে ? সন্ন্যাসিনী বলিতে লাগিলেন যে, আমি কে জানিনা । ভগবতী কি চাহার দাসী, তাহাও জানি না। আমি প্রেমহীনা, প্রেমের