পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ.djvu/৩৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
৩০০
রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ

কৃপাদৃষ্টি থাকলে তোমার, থাকেন ত (কোন)

যাতনা।

দিয়ে এ বিশ্বাস, করো না নিরাশ, (একবার)

স্নেহ-নয়নে চাও না।

কোপদৃষ্টি ফিরাইয়ে লও, আর বাঁচিবনা, বাঁচিবনা।
সকলি খাদ, অধিক পোড়ালে কিছুই থাক্‌বে না।
জানি প্রভু, যা কর তুমি, তা সবে হয় মঙ্গল সাধনা,
তবু কাতর হয়ে আমি করিয়াছি যে প্রার্থনা;
তাতে তব কাছে, যদি হয়ে থাকি অপরাধী
নিজ গুণে দয়াময় করহে মাৰ্জ্জনা।
কারে দুঃখ জানাই, প্রভু, তোমা বিনা,
তুমি ছাড়া কে আছে, বুঝিতে মনের বেদনা,
কে আছে আর শান্তিদাতা দেখিতে পাই না;
তাই কেঁদে ডাকি তোমায় ঘুচাতে জ্বালা যন্ত্রণা।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ।

ব্রাহ্মসমাজের প্রভাবের হ্রাস ও হিন্দুধর্ম্মের পুনরুত্থানের সূচনা।
১৮৭০ হইতে ১৮৭৯ পর্য্যন্ত।

 ১৮৭০ সালের শেষে কেশবচন্দ্র সেন মহাশয় ইংলণ্ড হইতে ফিরিয়া আসিলেন। আসিয়া নানা প্রকার সদনুষ্ঠানের আয়োজন করিলেন। 'ভারতসংস্কার সভা' নামে একটা সভা স্থাপন করিয়া তাহার অধীনে পাঁচ প্রকার কার্য্যের আয়োজন করিলেন (১ম) সুলভ সাহিত্য, (২য়) সুরাপান নিবারণ, (৩য়) শ্রমজীবি-বিদ্যালয়, (৪র্থ) স্ত্রীশিক্ষা, (৫ম) দাতব্য-বিতরণ। সুলভ-সাহিত্য বিভাগে 'সুলভ সমাচার' নামক এক পয়সা মূল্যের সাপ্তাহিক সংবাদপত্র বাহির হইল; সুরাপান নিবারণ বিভাগে “মদ না গরল” নামে এক মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হইল; শ্রমজীবি বিদ্যালয় বিভাগে শ্রমজীবিদিগের জন্য নৈশ বিদ্যালয় স্থাপিত এবং তাহার কার্য্যভার তাহার অনুগত কার্য্যদক্ষ এক প্রচারকের