পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ.djvu/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
দ্বাদশ পরিচ্ছেদ।
৩১১

ধনসম্পত্তিশালী সন্ত্রাস্ত পিতার পুত্র। তাঁহারা যখন পৈতৃক বিষয় সম্পত্তি। হইতে বঞ্চিত হইবার আশঙ্কাও অগ্রাহ্য করিয়া ব্রাহ্মধর্ম গ্রহণ করিলেন, তখন আরও বহু যুবা৷ তাঁহাদিগের পথ লইল, তথন ঢাকার ব্রাহ্মসমাজ হিন্দুসমাজ হইতে স্বতন্ত্র হইয়া পড়িল।

উক্ত মন্দির প্রতিষ্ঠার সময় সুপসিদ্ধ কে, জি, গুপ্তের পিতা কালীনারায়ণ গুপ্ত সপুত্রে ও অপরাপর যুবক প্রভৃতি প্রায় ৪• সল্লিশজন লোক ব্রাহ্মধর্মে দীক্ষিত হইয়াছিলেন। এক দিকে এই দীক্ষার ফলস্বরূপ প্রাচীন সমাজের সহিত ব্রাহ্মসমাজের বিচ্ছেদ ঘটনা হইল বটে, কিন্তু অপরদিকে ব্রাক্ষ সমাজে নুব প্রবিষ্ট যুবকগণ মহোৎসাহে নানা বিভাগে কাৰ্য্য আরম্ভ করিলেন।

কেবল তাহা নহে। ১৮৭০ সালে কালীপ্রসন্ন ঘোষ মহাশয় ‘শুভসাধিনী” নামে এক সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করিলেন। তাহ৷ লোকের চিত্ত বিনোদন ও শিক্ষা উভয়ের প্রধান উপায় স্বরূপ হইল। তৎপরে ঘোষজ মহাশয় সমাজ সংস্কারে উৎসাহদান৷র্থ “সমাজ-শোধিনী” নামে একথানি গ্রন্থ প্রচার করেন। এরূপ শুনিতে পাওয়া যায়, এ গ্রন্থ পূর্ববঙ্গে সামাজিক আন্দোলনের বিশেষ সহায়তা করিয়াছিল।

তৎপরে কলিকাতাতে বঙ্কিমচন্দ্রের সুবিধাত “বঙ্গদর্শন প্রকাশিত হইলে, তাহার এক বংসর পরে কালী প্ৰসন্ন বাবু তাহার সু প্রসিদ্ধ “বান্ধব” নামক মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। ‘বান্ধব’ বঙ্গ সাহিতো পূর্ববঙ্গের খ্যাতি প্রতিপত্তি সুদৃঢ় ভিত্তির উপরে প্রতিষ্ঠিত করিল।

ব্রাহ্মসমাজে নব প্রবিষ্ট যুব কগণের যে কাৰ্য্যতৎপরতার 'উল্লেখ অগ্ৰে করিয়াছি, তাহা এই কালের মধ্যে ঢাকাতে মহ৷ হান্দোলন উপস্থিত করে। এই সকল কাৰ্য্যে পূর্বোল্লিখিত নবকান্ত চট্টোপাধ্যায় প্রভৃতি কতিপয় যুবক প্রধান সারথিরূপে দণ্ডারমান হইলেন। প্রথম এই সময়ে কিছুদিন “শুভসাধিনী” নামে ব্রাহ্মদিগের একটী সভা ছিল। বোধ হয় তাহার সংশ্রবেই কালীপ্রসন্ন ঘোষ মহাশয় গ্ৰাহার “শুভসাধিনী পত্রিকা বাহির করিয়া থাকিবেন। ১৮৭০ সাল হইতে নবকান্ত চট্টোপাধ্যায় ও অভয় কুমার দাসের পুত্র প্রাণকুমার দাস তাহার সম্পাদকতা ভার গ্রহণ করিয়া তাহাকে পুনরুজ্জীবিত করিয়া তুলিলেন। এই সভার: উদ্যোগে “ম ন্তঃপুর স্ত্রীশিক্ষ। সভা” নামে একটী সভা স্থাপিত হইল। নবকাপ্ত বাবুই তাহার সম্পাদক হইলেন। ইহারা অর্থনংগ্ৰহ .