পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ.djvu/৩৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩৩০
রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ

প্রথম কয়েক বৎসর তারতসভার পরামর্শদাতা, নিৰ্বাহকৰ্ত্তাতত্বাবধায়ক সকলি। ছিলেন। পরে অপরেরা তাহাতে যোগ দিলে এবং কার্যভার গ্রহণ করিলে, তিনি কমিটীতে থাকিয়া চিরদিন ইহার কার্য্যের সহায়তা করিয়া আসিয়াছেন। তাসনাল কংগ্রেসের তিনি একজন উৎসাহী সভ্য ছিলেন। ইহার সকল পরামর্শের মধ্যে থাকিতেন; এবং একবার মাত্রাজ অধিবেশনে ইহার সভাপতির কার্য্য করিয়াছিলেন।

 এ সকল বলিলেও তিনি কিরূপ স্বদেশ-প্রেমিক ছিলেন, তাহা বলা। হইল না। তিনি বখনি যে স্থানে যে অবস্থাতে থাকিয়াছেন, স্বদেশের হিত চিন্ত| তাহার হৃদয়ের সৰ্ব্বোচ্চ স্থান অধিকার করিয়া থাকিয়াছে।

 ১৮৯৭ ১৮৯৮ সালে তাঁহার দুই পুত্রকে শিক্ষার জন্য ইংলঙে প্রেরণ করা আবভাক হয়। তখন বন্ধুজনের পরামর্শে তিনিও স্বাস্থ্যের জন্য তাহাদের। সঙ্গে গিয়াছিলেন। স্বাস্থ্যের জন্য গেলেন বটে, কিন্তু সেখানে গিরা ঐাহার স্বদেশপ্রেম তাহাকে মুস্থির থাকিতে দিল না। তিনি নগরে নগরে ভ্রমণ করিয়া, নানা সভাসমিতিতে ভারতের হঃখের কাহিনী বলিয়া বেড়াইতে লাগিলেন; এবং এদেশের প্রতি ইংলণ্ডীয় রাজনীতিজ্ঞগণের ও ইংরাজজাতির দৃষ্টি আকৰ্ষণ করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। বলিতে গেলে সেই গুরুতর। শ্ৰমেই তাহার শরীর ভাঙ্গিয়া পড়িল। তিনি দেশে ফিরিয়া আসিলে দেশবাসিগণ তাহার অভ্যর্থনার জঠ্য টাউনহলে'এক সভা করিলেন। সেই সভাতে বলিতে বলিতে তিনি অচৈত্য হইয়া পড়িলেন। বন্ধুগণ বুঝিলেন। কাল শক্র ধরিয়াছে। সেই যে কি এক রোগে দেখা দিল, তাহাতেই তাহার প্রাণ গেল। মধ্যে মধ্যে অচৈতন্য হইতেন; এবং কোনও বিষয়ে আার। পূর্বের তার ভাবিতে ও খাটতে পারিতেন না। চিকিৎসকগণ ও পরিবারবর্গ। তাহাকে চিন্তা ও শ্রম হইভে দূরে রাখিবার জন্য বিশেষ চেষ্টা করিতে লাগিলেন। কিন্তু চেষ্টা করিলে কি হইৰে? বে মানুষ চিরদিন আত্মাচিস্তা তুলিয়া স্বদেশের। হিতচিন্তা করিয়া আসিয়াছেন, তাহাকে কি সম্পূর্ণ নিবারণ করিল্লা রাখা যায় ! "১৯০৫ সালে ব্রাহ্মসমাজের মহোৎসবের সময় তিনি। কাহারও নিষেধ ন৷ শুনিয়া প্রায় সমস্ত দিন ব্রহ্মমন্দিরে ধৰ্মসাধন ও ধর্মালোচনার মধ্যে যাপন। করিতে গেলেন। রাত্রে বাড়ীতে আসিয়া! অ'হইয়া পড়িবোন। তদবধি তাহার দমদমস্থ ভবনে ও কলিকাতার বাসগৃহে তরে .তয়ে উiহাকে এক প্রকার বুদীদশাতে মাথা হইত; যাহাতে চিত্তের উত্ণেনা হয় এরপ কথা শোনান।