পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ.djvu/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
ত্রয়োদশ পরিচ্ছেদ।
৩৩১

হইত না; এবং ৰাহ্মসমাজের বন্ধুবান্ধব কম সাক্ষাৎ করিতেন। এইরূপে প্রার দেড় বৎসর কাটিয়া গেল! ইহার মধ্যে শেষকীৰ্ত্তি বঙ্গের অঙ্গচ্ছেদের সময় ফেডারেশন হলের ভিত্তিস্থাপন উপলক্ষে বক্ততা। বলিতে গেলে এক প্রকার মৃত্যু শয্যা হইতে লোকে তাহাকে বহিয়া লইয়া গেল। কিন্তু তিনি সেই অবস্থাতে গিয়া যাহা বলিলেন তাহার প্রত্যেক বাক্য অগ্নি উদগীরণ করিতে লাগিল। মানব-বাক্যের যে এরূপ উন্মাদিনী শক্তি থাকে, লোকে তাহ জানিত না। তিনি কি ভাবে যে ঐ সভাতে সভাপতিত্ব করিতে। গিয়াছিলেন, ভাহা তাহার বক্ত,তাতে উচ্চারিত নিম্নলিখিত প্রার্থনা হইতে জানিতে পার! যার।


প্রার্থনা

 And Thou, Oh God of this Ancient land, the protec tor and saviour of Arguounta and the Merciful Father of us all, by whatever name we call upon Thee, be with us on this day, and as a father gathereth his children under his arms, do Thou gather us under thy protecting and sanctifying care.

 ঐ বক্ত তান্তে তিনি একটী ঘোষণ-পত্র পাঠ করেন, তা হাতে এই ব্যক্ত হয়। যে, বঙ্গের অঙ্গচ্ছেদ করিয়া গবৰ্ণমেণ্ট যে অনিষ্ট সাধন করিয়াছেন, যথাসাধ্য সেই অনিষ্ট ফল নিবারণ করিবার জন্ত শিক্ষিত বাঙ্গালীগণ প্রতিজ্ঞারাঢ় হইতেছেন।

 বলিতে গেলে সেই ঘোষণাপত্র হইতেই বঙ্গদেশের মহা য়াজনৈতিক আন্দোলন উঠিল্লাgছ। আমরা সেই তরঙ্গের মধ্যে বাস করিতেছি। ইহার চরম ফল কি. দাড়াইবে ভাহা এখনও অনুভব করা যাইতেছে না।' আননমোহনেয়। ত্যায় পবিত্রচিত্ত, অকপট স্বদেশপ্রেমিক, চিত্মাণী, ও ভূমোদর্শনবিশিষ্ট নেতা এখন কাৰ্য্যক্ষেত্রে থাকিলে বিশেষ উপকার হইত সন্দেহ নাই। এই ফেডারেশন হলের ভিত্তিস্থাপনের পর আনলমোহন প্রায় এক বৎসর কাল জীবন্থতাবস্থাতে শ্যাশারী ছিলেন। তাহার মধ্যেও বালুবান্ধবের ও পরিবারবর্গের অজ্ঞাতসারে অমৃতবাজার পত্রিকা, প্রভৃতিতে লিথিতে ক্রটী করেন নাই। দেশের যে কল্যাণচিন্তা৷ fদন রাত্রি তাহার হৃদয়কে অধিকার করিয়ছিল, তাঁহা জীব” ভাবস্থাতেওর্তাহাকে ছাড়ে ন ই।

 অবশেষে ১৯০৭ সালের ২০ আগষ্ট প্রাতে প্রাণবন্তু তাহার রুগু ভগ্ন দেহকে পরিত্যাগ করিয়া গেল। ব্রাহ্মসমাজ একজন আগশ নেণ্ডা হান্নাইল; জননী