পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ.djvu/৪১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
৩৪৬
রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ

সমগ্র সময় অতিবাহিত হইয়াছিল তাহ৷ নহে, এত কার্গের ব্যস্ততার মধ্যে। তিনি সাহিতারচনার সময় পাইয়াছিলেন। তাঁহার প্রণীত কোন কোনও গ্রন্থ বিশেষ সমারে পাইঃাছে। শীরনারী ও পুরুচির কুটীর” নামে তিনি দুইখানি উপন্যাস গ্রন্থ রচন) করিয়াছিলেন। এতদ্ভিন্ন “জীবনালেখ্য” নামে এক গ্রন্থে গর্গীয় দুর্গামোহন দাস মহাশয়ের প্রথমা পত্নী ব্ৰমন্ত্রীর জীবন চরিত ব্যক্ত করেন।; এবং বহু:িরশ্রম সহকারে ইংরাজী “ইয়ারবুক” নামক গ্রন্থের অনুকরণে “নববার্ষিকীনামে এক গ্রন্থ প্রণয়ন করেন। বঙ্গের অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তির জীবন চরিত তাহাতে প্রাপ্ত হওয়া যায়। এতদ্ভিন্ন তাহার। শিশুপাঠ্য কয়েক থানি গ্রন্থ আছে। এইরূপ নানা কাৰ্য্যে ব্যস্ত থাকিতে থাকিতে ১৮৯৮ সালের ১৩ই আষাঢ় দিবসে গুরুতর যকৃৎরোগে তিনি। গতাম্র হন।

মনোমোহন ঘোষ।

 ১৮৭০ হইতে ১৮৮০ পর্যন্ত এই কালের মধ্যে যে সকল সাধু পুরুষের শক্তি। বঙ্গসমাজে বিশেষরূপে অনুভূত হইয়াছিল, তাহাদের মধ্যে ক্ষু প্রসিদ্ধ মনোমোহন ঘোষ একজন। ‘কৃতী বারিস্টার, ও পদে সন্ত্ৰমে অগ্রগণ্য বলিয়াই যোহাকে আমরা জানিমাছিলাম তাহা নহে; স্বদেশ-হিতৈষী, সদাশয় ও সর্ব প্রকার সদসুষ্ঠানের উৎসাহদাত৷ বলিয়া তিনি প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন। অগ্ৰেই বলিয়াছি ১৮৭৬ সালে যখন ভারতসভা প্রতিষ্ঠিত হয়, তখন তাহার ভবন ঐ সভার প্রধান | উদ্যোগী ব্যক্তিগণের সম্মিলনের স্থান ছিল। কেবল, তাহা নহে ঐ কালে নারীগণের উচ্চশিক্ষ। বিধানাথ যে কিছু আরোজন হইয়াছিল, তিনি। সে সকলের পৃষ্ঠপোষক ও.উৎসাহদাতা ছিলেন। এজন্য তাহাকে নব্যবঙ্গের এই তৃতীয় যুগের একজন নেতা বলিয়া গণনা করা যাইতে পারে।

 মনোমোহন ১৮৪৪ সালের ১৩ই মার্চ দিবসে পূর্ববঙ্গের বিক্রমপুর জেলার অন্তর্গত এক গ্রামে জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। তাহার পিতা স্বর্গীয় রামলোচন। ঘোষ সে কালের একজন সবজজ '? স্বদেশহিতৈষী ব্যক্তি বলিয়া লোকসমাজে। প্রসিদ্ধ ছিলেন। এরূপ: শুনিতে পাওয়া যায়, মামল্লোচন যৌবনকালে মহাত্মা রাজা রামমোহন রায়ের সংস্রবে অ্যাসিয়াপ্রীতি ও শ্রদ্ধাসূত্রে উক্ত মহাপুরুষের সুহিত বদ্ধ হইয়াছিঃলন; এবং তাহাঁর নিকট হইতে হৃদঙ্গ মনের উদার ভাব