পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ.djvu/৪১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
ত্ৰয়োদশ পরিচ্ছেদ।
৩৪৯

আন্দোলন উপস্থিত হইল, তখন তিনি উচ্চশিক্ষা পক্ষপাতিগণের পৃষ্ঠপোষক হইলেন। বঙ্গমহিলা বিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধায়িক কুমারী এক্রয়েড এদেশে আসিয়া তাহারই ভবন আশ্রয় করিলেন; এবং সেখানে বসিয়া এদেশীয় নারীকুলের শিক্ষাবিধানের বিষয়ে পরামর্শ করিতে লাগিলেন। ইহা অগ্ৰেই উক্ত হইয়াছে।

 ১৮৭৬ সালে ভারতসভা যখন স্থাপিত হইল, তখন তিনি ইহার একজন প্রধান পরামর্শদাতা হইলেন; তাহার ভবন ইহার প্রতিষ্ঠাতাদিগের সন্মিলনের ক্ষেত্র হইল; এবং তিনি ইহার কার্য্য নিৰ্ব্বাহ বিষয়ে ইহার কৰ্ম্মচারীদিগকে সাহাফ করিতে লাগিলেন। তৎপরে ইণ্ডিয়ান কংগ্রেস স্থাপিত হইলে তিনি উৎসাহের সহিত রাজনীতির আন্দোলনে সাহায্য করিতে লাগলেন। কংগ্রেসের অবলম্বিত আলোচ্য বিষয় সকলের মধ্যে একটা বিষয় তিনি সৰ্ব্বপ্রথমে অবতারণা করেন; এবং দৃঢ়তার সহিত প্রচার করেন। তাহ বিচার ও শাসন বিভাগকে স্বতন্ত্র করা। রাজপুরুষগণ এতদিনের পর এই পরামর্শ অনুসারে কার্য্য করিবার জন্ত প্রস্তুত হইয়াছেন। কিন্তু মনোমোহন ঘোষ মহাশয় যে সময়ে এদিকে সকলের দৃষ্টিকে আকর্ষণ করিৰার চেষ্টা করিয়াছিলেন, তখন এবিষয়ে অনেকের झुष्ट ੋ নাই | हेश:ख्हे তাঁহার দূরদর্শিতা ও স্বজাতিপ্রেমের নিদর্শন পাওয়া যাইতেছে।

 ১৮৬৯ হইতে ১৮৮৫ সালের মধ্যে তিনি স্বদেশবাসিগণের চিত্তে স্বজাতি প্রেম উদ্দীপ্ত করিবার জন্ত নানা স্থানে বক্তৃতাদি করেন। ১৮৮৫ সালে তিনি স্বদেশীয়ুগণের প্রতিনিধিরূপে ইংলণ্ডে গমন করিয়া সে দেশের নানা স্থানে, ভারতের দুঃখ দুৰ্গতির বিষয়ে বক্তৃত করেন। সেই বক্তৃতার ফলে অনেকের দৃষ্টি ভারতবর্ষের দিকে আকৃষ্ট হয়; এবং ইংলণ্ডে उब्रडश्टेिउशै। দলের অঙ্গপুষ্টি ও তাঁহাদের প্রভাব বৃদ্ধি হয়।

 এইরূপে স্বদেশের হিত চিন্তাতে রত থাকিতে থাকিতে ১৮৯৬ সালে দারুণ পক্ষাঘাত রোগে তাহার মৃত্যু হয়। তাঁহার মাতৃভক্তি অতিশয় প্রগাঢ় ছিল। কলিকাতার বিষয় কৰ্ম্মে ব্যাপৃত থাকিবার সময়েও একটু অবসর পাইলেই জননীর চরণদর্শনের জন্ত কৃষ্ণনগরের বাড়ীতে যাইতেন; এবং মাতৃ সঙ্গে কয়েক দিন যাপন করিয়া আসিতেন। সেই নিয়মানুসারে ঐ বৎসরের অকৃটােবর মাসে পুজার বৃন্ধের সময় কৃষ্ণনগরের বাড়ীতে গমন করিয়াছিলেন। সেখানে একদিন হঠাৎ মাথাতে রক্ত উঠিয়া অচেতন হইয়া