পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ.djvu/৪৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
চতুর্দশ পরিচ্ছেদ।
৩৩১

ইন্দু কি আপনার জোঠের পীড়ার কথা শুনিয়া মুস্থির খাঁকিতে পারেন? মনে হইল বৃদ্ধা জননীর প্রতি সংসারের সকল কাজের ভার, দাদার সেবা করে। কে? তাই পড়াশুনা ছাড়িয়া, ভবিধাৎ উন্নতির স্বার বন্ধ করিয়াহয়ত পরিশ্রম করিবার জন্য বদ্ধপরিকর হইয়। কৃষ্ণনগরে গেলেন। কৃষ্ণনগর থাকিয়া বিশেষ উপকার না হওয়াতে বায়ু পরিবর্তনেয় জন্য নবকুমারকে ভাগলপুরে। লইয়া যাওয়া হইল। ইন্দুমতী শুশ্ৰষার ভার লইল্প সঙ্গে গেলেন।

 নবকুমার পীড়িত হওয়া অবধি পরিবার মধ্যে রোগের পর রোগ দেখা দিয়া সমগ্র পরিবারটীকে যেন উদ্বাস্তু করিয়া তুলিল।! লাহিড়ী মহাশয়ের নিজেস শরীর ইহার অনেক পূর্ব হইতেই সর্বদা অসুস্থ থাকিত। এক দিন অন্তর তাহার জরভাব হইত। সেই থারাপ দিনে তিনি নড়িতে চাহি তেন না; শয্যাস্থ থাকিতেন। তথন যে ভবনে থাকিতেন সেখানকার মহিলাদিগের কিছু কাজ বাড়িত। দিনের বেলা অধিকাংশ সময় একজন। না একজনকে নিকটে বসিয়া কিছু না কিছু তাল বিষয় পড়িয়া শুনাইতে। হইত। কলিকাতাতে যখন আমাদের সঙ্গে। থাকিতেন, তখন তাহার প্রাতুষ্প ত্রীরা, ইন্দুমতী সঙ্গে থাকিলে ইন্দুমতীঐ কাজ করিতেন। এক দিনের ঘটনা বলিতেছি। দিবা দ্বিপ্রহরের সময় তিনি শাঁন আছেন; প্রাতুষ্প ত্রী অন্নদা খুনীকে “ধৰ্মতত্ব” পত্রিকা পড়িয়া শুনাইতে নিযুক্ত করিয়াছেন। সেবারকার “ধৰ্ম্মতত্বে” কেশবচন্দ্র সেন মহাশমের সঙ্গ ত-সভার আলোচনায় বিবরণ ছিল। সেবারে সঙ্গতে রিপুদমন বিষয়ে আলোচনা হইয়াছিল। আলোচনার মধ্যে কেশববাবু বলিয়াছিলেন, যে রিপুগুলোর মধ্যে যেন পারি। বারিক সম্বন্ধ আছে। একটার ঘাড় ভাঙ্গিলে অন্যগুলোয় ভয় হয় বুবি বা আমাদেরও ঘাড় ভাঙ্গে; তারা ভয়ে কম-জোর হুইয়া পড়ে”। কেশববাবুর এই উক্তি গুলি ধৰ্ম্মৰ সঙ্গতের আলোচনার মধ্যে প্রকাশিত হইয়াছিল। কিন্তু তাহার সঙ্গে তার নাম ছিল না। অন্নদায়ি' যেই কথাগুলি পতিয়া ছেন, অমনি লাহিড়ী মহাশয় “ও কি কথাএমন কথা কে বলে?” বলিয়া গা ঝড়া দিয়া উঠিয়া বসিলেন। জরভাব আর মনে থাকিল না! খারাপ দিন কোথায় পলায়ন করিল!, সেই ভাঙব একেবারে বিভোর! বাড়ীর মহিলাদিগকে ডাকাইয়া সকলকে,সেই কথাগুলি শুনাইলেন। বলিলেন “ঠিক কথা! ঠিক কথা! একটা প্রবৃত্তিকে ঘে দমন করে ভার পক্ষে অ্যগুলো গমন কয়া সহজ হয়। এমন কথা কে বললে, এ কেশৰ না হয়ে যায় না, “