পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতরণিক । هله এবং তাহার একাংশে রত্নশাস্ত্রের বিষয়গুলি অতি পরিষ্কাররূপে বর্ণিত আছে। এক্ষণে ভাবিয়া দেখ যে, রত্নশাস্ত্ৰটী এদেশের কত পুরাতন । “অগস্তিমতম্‌’ নামক অন্ত একখানি রন্ধশাস্ত্র আছে, তাঙ্গ অগস্ত্যমুনি-ক্কত বলিয়া প্রসিদ্ধ। মহামহোপাধ্যায় মল্লিনাথ এই গ্রস্থের প্রমাণ উদ্ধার করিয়াছেন। মুতরাং উক্ত গ্ৰন্থখানিও বহু পুরাতন । অগ্নিপুরাণ, গরুড়পুরাণ ও বিষ্ণুধৰ্ম্মোত্তর প্রভৃতি আৰ্য্যগ্রন্থেও রত্বের গুণদোষনিৰ্ব্বাচন ও পরীক্ষা- প্রণালী অভিহিত হইয়াছে । এই সকল গ্রন্থ আধুনিক নহে । হেমাদ্রি প্রভৃতি প্রাচীন নিবন্ধকারেরাও উক্ত গ্রন্থের প্রমাণ সংগ্ৰহ করিয়া গিয়াছেন । বৃহৎসংহিতা নামক এক জ্যোতিগ্রন্থ আছে, তাহার মধ্যে রত্নপরীক্ষা উক্ত হইয়াছে । এই গ্রন্থখানি ১৪ • ০ শত বৎসরের পুরাতন । ভোজকৃত যুক্তিকল্পতরু গ্রন্থখনিও প্রাচীন ও প্রামাণিক । এতদগ্রন্থে অশেষ বিশেম প্রকারে রত্ন তত্ত্ব নিরূপিত হইয়াছে । রামায়ণ এবং মহাভারতেও সৰ্ব্বপ্রকার রত্নের উল্লেখ দৃষ্ট হয়। এই সকল পর্যালোচনার দ্বারা স্থির হয় যে, মণি শাস্ত্র এদেশের বহু প্রাচীন এবং অনান পঞ্চ সহস্ৰ বৎসর পূৰ্ব্বে এদেশে সভ্যতা ও সমৃদ্ধিশালিত ছিল । সমধিক উন্নতির সময় ব্যতীত যখন শাস্ত্রপ্রচার সম্ভব হয় না, তখন ইহা অবগুই স্বীকার করিতে হইবে যে, মণিশাস্ত্র প্রচারের অনেক পূৰ্ব্বে এদেশ অস্তুতঃ কিয়ৎপরিমাণে উন্নত ছিল । রত্নতত্ত্বানুসন্ধায়ী ঋষির যখন প্রস্তর পরীক্ষায় মনোনিবেশ করিয়ছিলেন, তখন এদেশ সমপিক উন্নত । তৎকালে তাহারা দক্ষিণে সিংহল, পশ্চিমে তুরস্ক, উত্তরে হিমালয়-পাশ্ব প্রভৃতি সৰ্ব্বত্র ভ্রমণ করিতেন। তাহদের বহুদর্শনের পর স্থির হইয়াছিল যে, সৰ্ব্বসমেত চতুরণীতি প্রকার প্রস্তর জাতি আছে। তন্মধ্যে কতকগুলি প্রাণ্যঙ্গজ, কতকগুলি উদ্ভিজ্জজাত এবং অবশিষ্টগুলি ভূমিজ । স্থানবিশেষের মৃত্তিকায়, বেণু বশ ) প্রভৃতি উদ্ভিদ পদার্থে, এবং শঙ্খ শুক্তি প্রভৃতি প্রাণীর অঙ্গে প্রস্তর জন্মিয় থাকে । এই সকল প্রস্তরের মধ্যে যাহা উৎকৃষ্ট তাহাই রত্ন । অবশিষ্ট নগণ্য বা সামান্ত পাথর মাত্র । * “ইত্যেন্ত হ্যশনোঙ্গীত গাথা ধাৰ্য্য! বিপশ্চিত ” “কাব্যাং নীতিং মা শৃণোয্যক্সবুদ্ধে।” { মহাভারত। * "ভেকাৰুিপি জায়স্তুে মণয়ঃ কটবর্চস ।" “রত্নং মণিদ্বয়োরশাজাতে মুক্তাদিকেম্বপি ।