পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আর্য্যজাতির যুদ্ধাস্ত্র। আর্য্যের যখন ভারতবর্ষে আধিপত্য ব্রিস্তার করিয়াছিলেন, তখন তাহদের যে সমূহ উন্নতি হইয়াছিল, এবং কি শিল্প, কি যুদ্ধ, কি বাণিজ্য সকল বিষয়েই যে তাহারা পারদর্শী ছিলেন, তাহ আৰ্য শাস্ত্ৰ দেখিলেই অনুভূত হয়। তাহার সৰ্ব্বদা যাগ যজ্ঞ জপ হোমানি পারলৌকিক কাৰ্য্য করতেন বটে, কিন্তু সংগ্রাম উপস্থিত হইলেই অমনি লৌহময় কবচে আবৃত-সৰ্ব্বাঙ্গ হইয়া অস্ত্রশস্ত্রাদি গ্রহণ পূর্বক শক্র জয়ার্থ বহির্গত হইতেন। সৈন্ত, সেনাপতি, ইষ্ণু, ধনু, অস্ত্র, শস্ত্র, রথ, সারথি, ইত্যাদি বহু সাংগ্রামিক শব্দ ঋগ্বেদ মধ্যে দৃষ্ট হয় । সুতরাং তৎকালেও যুদ্ধবিদ্যার উৎকর্ষ ছিল ইহা সহজেই অনুমিত হইতে পারে। রামায়ণ । ও মহাভারতাদির সময়ে এই বিদ্যার সমধিক উন্নতি হইয়াছিল। রামায়ণাদি গ্রন্থে যে সকল যুদ্ধান্ত্রের উল্লেখ দৃষ্ট হয়, তাহা এক্ষণে কাল-কবলে কবলিত হইয়াছে। সে সকল যে কিরূপ ছিল, তাহা অার এক্ষণে জানিবার উপায় নাই। ধনুৰ্ব্বেদ, শুক্রনীতি, বৈশম্পায়ন-নীতি অগ্নিপুরাণ, কামন্দক প্রভৃতি প্রাচীন রাজনৈতিক গ্রন্থের দ্বারা এক্ষণে কতিপয়মাত্র অস্ত্রের স্বরূপ জানা ধাইতে পারে। কিঞ্চিৎ আমোদ আছে বলিয়া অঙ্ক আমরা সেই লুপ্ত যুদ্ধাস্ত্রের স্বরূপাদি বর্ণন করিতে ইচ্ছুক হইয়াছি। ধন্থ, ইষ্ণু, ভিন্দিপাল, শক্তি, ক্রমণ, তোমর, নলিকা, ( নাল, নালিক, এই দুই । নামও আছে, ) লগুড়, পাশ, চক্র, দস্তকণ্টক, ভূস্বওঁ, পরশু, গোশীর্ষ, অসি, , কুন্তু, লবিত্র, স্থণ, প্রাস, পিশাক, গদা, মুদ্গর, সীর, মুসল, পটিশ, পরিঘ, ময়ুখী, শতঘ্নী, দও, দগুচক্র, ধৰ্ম্মচক্র, কালচক্র, ঐস্ত্রচক্র, শূল, ব্রহ্মশির, মোদকী, বরুণপাশ, বায়ু-জন্ত্র, ক্রৌঞ্চাস্ত্র, হয়শির, বিস্কা, অবিস্তা, গান্ধৰ্ব্ব, নন্দন, বর্ষণ, শোষণ, প্রস্থাপন, প্রশমন, সন্তাপন, বিলাপন, নাগাস্ত্র, গরুড়া, নারীচ, , জন্ত৭ প্রভৃতি শত শত অন্ত্রের নাম গুনা যায়, কিন্তু তত্ত্বাবতের আকার প্রকার ও ব্যবহার প্রণালী কিছুই জান যুায় না। যাহা জানা যায়, তাহ যথাক্রমে প্রদর্শিত হইতেছে । ,