*६ রত্ন-রহস্ত । মণি নহে বলিয়া জানিতে হইবেক । এইরূপ প্রভেদ পরীক্ষা স্থানান্তরেও উক্ত হইয়াছে। যথা—
- মুখোপলক্ষ্যশ্চ সদা বিচার্য্যোহয়ং প্রভেদে বিতৃষা নরেণ । স্নেহ-প্রভেদো লঘুতা-মৃদুত্বং বিজাতি-লিঙ্গং খলু সাৰ্ব্বজন্তম্”
মূল্য t "ঘদিন্দ্রনীলন্ত মহাগুণন্ত সুবর্ণ-সংখ্যা-কলিতন্ত মূল্যম্। তদেব বৈদূৰ্য্যমণেঃ প্রদিষ্টং পলদ্বয়োম্মাপিত-গৌরবস্ত ॥” এক সুবর্ণের দ্বারা যে পরিমাণ নির্দোষ “ইন্দ্রনীল” মণি লাভ হয়, ওজনে দুই পল পরিমাণ বৈদুৰ্য্য-মণির সেই মূল্য ; ইহা রত্ন শাস্ত্রবেত্তারা বলিয়া থাকেন। “কুশলাকুশলৈঃ প্রযুজ্যমানাঃ প্রতিবন্ধাঃ প্রতিসৎক্রিয়াপ্রয়োগৈ । গুণদোষসমুদ্ভবং লভন্তে মণয়োহর্থস্তিরমূল্যমেব ভিন্না: ?” “ক্রমশঃ সমতীতবর্তমানাঃ প্রতিবদ্ধ মণিবন্ধকেন যত্নাৎ ॥ দি নাম ভবস্তি দোষহীন মণয়ঃ ষড় গুণমাপ্রবস্তি মূল্যম্।।” “আকরান সমতীতানামুদ্ৰধেস্তীরসন্নিধৌ। মূল্যমেতন্মণীনাস্তু ন সৰ্ব্বত্র মহীতলে ।” শাস্ত্রে যে প্রকার মণি-মূল্য উক্ত হইয়াছে, আকর স্থান অতিক্রম করিলে সে মূল্য পৃথিবীর স্থান-সাধারণের নিমিত্ত নির্দিষ্ট নহে। সমুদ্র তীরের নিকটবৰ্ত্তী দেশে ও অপর স্থানের নিমিত্তই উল্লিখিত মূল্য নির্দিষ্ট হইয়াছে। “সুবর্ণো মমুনা যস্ত প্রোক্ত: ষোড়শমাষকঃ । **তস্ত সপ্ততিমো ভাগঃ সংজ্ঞারপং করিষ্যতি ॥” । “শাণশচতুমৰ্পযমানে মাষক; পঞ্চকৃষ্ণলঃ । পলন্ত দশমে ভাগে ধরণঃ পরিকীৰ্ত্তিতঃ ॥” “ইতি মানবিধি: প্রোক্তো রত্নানাং মূল্য-নিশ্চয়ে ॥” মনু ১৬ মাষ পরিমাণ কাঞ্চনকে সুবর্ণ সংজ্ঞা দিয়াছেন ; তাহার ৭০ ভাগ পৰ্য্যস্ত বিশেষ বিশেষ নাম উৎপাদন করে । ৪ মাষায় ১শাণ, ৫ মাষায় কৃষ্ণল, পলের দশম ভাগ ধরণ নামে উক্ত হয়। রত্ন-সকলের মূল্যাবধারণের ই এই সকল পরিমাণ উক্ত হইয়াছে । - শুক্রাচার্য বলেন যে “চলখ্রিস্থত্রেবৈদুৰ্য উত্তমং মূল্যমৰ্হত।" ত্রিস্বত্র বৈদুৰ্য্য 38 ας
