পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রত্ন-রহস্ত । ৭" রত্নের মধ্যে ৰঞ্জ অর্থাৎ হীরকই শ্রেষ্ঠ । আর গোমেদ ও বিক্রমই অধম । শুকনীতিকার গোমেদ-মণির পরীক্ষাদি সম্বন্ধে কোন বিশেষ কথা লেখেন নাই, কেবল এইমাত্র বলিয়াছেন, যে— এ “নায়সোল্লিখ্যতে রত্নং বিনা মৌক্তিকবিক্ৰমাৎ। পাষণে চাপি চ প্রায় ইতি রত্নবিদে বিদ্যুঃ ॥” রত্নতত্ত্ববেত্তারা জানেন ষে, মুক্ত ও বিদ্রুম ভিন্ন কোন রত্নই লৌহশলাকার দ্বারা উল্লিখিত ( গাত্রে আঁচোড় দেওয়া ) করা যায় না । সুতরাং গোমেদকেও লৌহের দ্বারা অাঞ্চোড়িত ও পাষণে সৃষ্ট করা যায় না ; ইহা প্রায়িক জানিতে হইবে । মূল্যসম্বন্ধেও কোন বিশেষ বিধান করেন নাই। সামান্তাকারে বলিয়াছেন যে,— : “অত্যন্ত্রমূল্যে গোমেদে নোন্মানন্তু যতোইহঁতি।” “সংখ্যাতঃ স্বল্পরত্নানাং মূল্যং স্তাৎ—” শুক্রনীতি । অর্থাৎ গোমেদ মণির মূল্য অতি অল্প ; সেই হেতু উহা উন্মান অর্থাৎ ওজম করিবার যোগ্য নহে। গোমেদ ও অন্তান্ত স্বল্প রত্ন সকলের সংখ্যা অর্থাৎ গণ তি অনুসারে মুল্য অবধারিত করা কৰ্ত্তব্য। তন্মধ্যে বিশেষ এই যে,— “অত্যন্তরমণীয়ানাং দুর্লভানাঞ্চ কামত: | ভবেন্ম ল্যং ন মানেন তথাতিগুণশালিনাম।” শুক্রনীতি । স্বল্পরত্ব হইলেও যদি দেখিতে সুন্দর হয় বা ছপ্রাপ্য হয় তবে তাহার মূল্য ক্রেতা বিক্রেতার ইচ্ছার উপর নির্ভর করে এবং অত্যন্ত গুণান্বিত মহারত্বের পক্ষেও এই নিয়ম আছে। পরস্তু রাজার দোষে কখন কখন ব্যতিক্রম হইয়া থাকে। বর্তমানকালে স্বর্ণের মহার্ঘতা পৰ্য্যালোচনা করিলেই উক্ত বাক্যের যথার্থত সপ্রমাণ হইবেক । “রজতং ষোড়শগুণং ভবেৎ স্বর্ণন্ত মূল্যকম্ ।” পূৰ্ব্বে স্বর্ণের মূল্য রজতের ১৬ গুণ ছিল এক্ষণে উক্ত নিয়ম রাজার দুরভিসন্ধিক্রমে ব্যতিক্রাস্ত হইয় ১৬ গুণের পরিবর্তে ২০ গুণ হইয় দাড়াইয়াছে। রৌপ্যের মূল্য কম ও মুবর্ণের মূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় ভারতবর্ষের ক্ষতি ও বিলাতের 象8愈