রত্ন-র স্ত । b"。 স্বভাবতঃ মনোহর হরিদ্বর্ণ, শুভ্রবর্ণ, পীতবর্ণ, পিঙ্গলবর্ণ, শ্যামবর্ণ, ও ঈষত্তায়বর্ণের হীরার দেবতা যথাক্রমে নিধাৰ্য্য। হরি (বিষ্ণু ), বরুণ, শত্রু (ইন্দ্র ), ভূতবহু ( অগ্নি ), পিতৃপতি ( যম ) ও মঞ্চৎ ( বায়ু ), - এই সকল দেবতাদের আপন আপন বর্ণের অনুরূপ বর্ণের হীরাই প্রিয়। এই বচনের সহিত বৃহৎসংহিতোক্ত বচনাবলীর ঐক্য আছে। এবং তদ্বার অন্ত একটা স্বতন্ত্র সিদ্ধাস্তও লব্ধ হয়। সে সিদ্ধান্ত কি ? না গঠন । রঙ, ও গঠনের নির্ণায়ক বচন কয়েকট এইরূপ— - “ঐন্দ্রং ষড়ম্রি শুক্লং যাম্যং সৰ্পস্তরূপমসিতঞ্চ । কদলীকাগুনিকাশং বৈষ্ণবমিতি সৰ্ব্বসংস্থানম্। বারুণমবলাগুহোপমং ভবেৎ কণিকারপুষ্পনিভম্। শৃঙ্গাটকসংস্থানং ব্যাঘ্রক্ষিনিভং হেীতভূজম্। বায়ব্যঞ্চ যবোপমমশোককুসুম প্রভং সমুৰ্দ্দিষ্টম।” ষড়ম্রি অর্থাৎ ষটকোণ। সংস্থানে ঘটকোণ ও শুভ্রবর্ণ হীরকের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা ইন্দ্র । সপাস্ত অর্থাৎ ফণিফণার স্তায় গঠন ও কৃষ্ণবর্ণ হীরকের দেবতা যম। কদলীকাণ্ডের স্তায় শুভ্রবর্ণ এবং গঠনে গোল, এরূপ হীরকের দেবতা বিষ্ণু । অবলাগুহাকার ও রঙে কণিকার পুষ্পসদৃশ এরূপ হীরার দেবতা বরুণ। শৃঙ্গাটক অর্থাৎ চতুষ্পথবৎ সংস্থানযুক্ত ব্যাঘ্ৰনেত্রবর্ণের হীরার দেবতা অগ্নি। যব কি ধান্ত৷কার অশোক পুষ্পবর্ণের হীরার দেবতা বায়ু । বর্ণনুযায়ী গুণ ! রাজনির্ঘণ্ট গ্রন্থে জাত্য হীরকের ছায়া বা বর্ণের বিশেষ গুণগুলি পরিষ্কাররূপে লিখিত হইয়াছে। যথা— 灘 “শ্বেত-লোহিত-পীতমেচকতয়া ছায়াশ্চতস্রঃ ক্ৰমাৎ ৷ বিপ্রাদিত্যমিহস্তি যৎ সুমনসঃ শংসস্তি সত্যং তত: | স্ফীতাং কীৰ্ত্তিমমুত্তমাং শ্রিয়মিদং ধত্তে যথা সংস্কৃতম্। মৰ্ত্তানামযথাযথস্ত কুলিশং পথ্যং হিতং জাত্যতঃ ॥” “বিপ্রঃ সোইপি রসায়নেষু বলবানষ্টাঙ্গসিদ্ধিপ্রদে রাজন্তস্তু নৃণাং বলীপলিতজিৎ মৃত্যুং জয়েদঞ্জস । দ্রব্যাকর্ষণসিদ্ধিদস্তু সুতরাং বৈশ্লোইথ শূদ্রোভবেৎ সৰ্ব্বব্যাধিহরস্তদেষ কথিতে বজ্রস্ত বর্ণোগুণ: ॥” ২৫৩ .*
