পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রঞ্জ-দহন্ত । ** লৰ তাৰ নপুংসক অর্থাৎ জীব। এই জাতিত্রয়ের মধ্যে পুরুষ হীরকই শ্রেষ্ঠ । পুরুষ হীরক ধারণে অনেক মুফল হয় । স্ত্রী হীরক ধারণে পুরুষের কোন সুখ নাই, কিন্তু নারীর মুখ ও কান্তি বৃদ্ধি হয়। নপুংসক হীরা ধারণ করিলে বীৰ্য্য ও কাম হানি হয় । এজন্য স্ত্রীদিগকে স্ত্রী হীরা ও ক্লীবদিগকে ক্লাব হীর ধারণার্থে প্রদান করিবেক। পরস্তু পুরুষ হীরা সকলেই ধারণ করিতে পারে। হীরককে শুদ্ধ ও মৃত না করিয়া ঔষধে ব্যবহার করিবেক না । করিলে কুষ্ঠ প্রভৃতি নানা রোগ জন্মে। হীরককে যদি সংশোধনপূর্বক মারিত করিয়া ঔষধরূপে সেবা করা যায়, তাহা হইলে তদ্বারা অনেক শুভফল পাওয়া যায় । যথা— “মায়ুঃ পুষ্টিং বলং বীৰ্য্যং বৰ্ণং সৌখ্যং করেীতি চ। সেবিতং সৰ্ব্বরোগল্পং মৃ গুং বজং ন সংশয়ঃ ॥”

  • ভাব প্রকাশ ।

মৃতবত্র অর্থাৎ হীরকভন্মের সেবা করিলে জায়ু বৃদ্ধি হয়, ধাতু পুষ্টি হয়, ট্র্য । বৃদ্ধি হয়, বর্ণ উজ্জল হয়, স্বাস্থ্য সুখ জন্মে ও অশেষ বিশেষ রোগ নাশ হয় । কেহ কেহ বলেন যে, পূর্বে হীরক কি অন্তান্ত মহারা সকল কৰ্ত্তন করিত · না। আকরজাত আকারটি বজায় রাখিয়া কেবল মাত্র ধমনকার্য্যের দ্বারা পরিস্কৃত করিয়াই ধারণ করিত । কাটিবার প্রথা না থাকায়, হীরকের কৰ্ত্তন-প্রক্রিয়া কোনও রত্নশাস্ত্রে বিশিষ্টরূপে লিখিত নাই। এজন্য বুঝিতে হইবে যে, উল্লিখিত আকারগুলি স্বাভাবিক বা আকরিক অর্থাৎ কৃত্রিম নহে। একথা কতদূর সঙ্গত, তাহ আমরা বুঝতে পারি না । পরস্তু আমরা বিশেষরূপ পৰ্য্যালোচনার দ্বারা জানিতে পারিয়াছি যে, পূৰ্ব্বকালের লোকেরাও হীরকের কৰ্ত্তন প্রক্রিয় জ্ঞাত ছিল। গ্রন্থের অবতরণিকায় আমরা এতৎসম্বন্ধে বিশেষ প্রমাণ দেখাইয়াছি । শুভাশুভ লক্ষণ । রন্ধুবৎ পণ্ডিতেরা বলেন যে, রত্বের গুণ-দোষ পরীক্ষা করিয়া পশ্চাৎ তাহ ধারণ করিবে । যে সে ব্যক্তি যে সে রত্ন ধারণ করিলে, তাহা তাহদের অনিষ্ট জানয়ন করিয়া থাকে। বিশেষতঃ , হীরক-ধারণের পক্ষে বিশেষ সতর্ক হওয়া উচিত। কিরূপ হীরক কোন ব্যক্তির ধারণ করিতে হয়, তাহ বৃহৎসংহিতা, গরুড়পুরাণ ও শুক্রনীতি গ্রন্থে লিখিত আছে। যথা- । * tt , .