পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্লঞ্জ-রষ্ঠষ্ঠ । ৯৯ বিবেচনা করিয়া দেখিলে, তাহার কথা অতীব সঙ্গত বলিঙ্গ বোধ হয় । কেনন কাল, দেশ ও পাত্র অনুসারে কেবল প্রত্ন নছে, সকল দ্রব্যেরই মূল্যের তারতম্য ঘটনা হয়। তদীয় নীতিগ্রন্থের রত্নপরীক্ষাপ্রকরণে হীরকের মূল্যসম্বন্ধে যেরূপ ব্যবস্থা আছে, অধুনা প্রায় সেই নিয়ম অনুসারেই হীরক সকল ক্রীত বিক্রীত হইয়া থাকে। যথা— “একস্তৈবহি বজ্রস্ত ত্বেকল্পত্তিমিতস্ত চ | সুবিস্তৃতদলস্তৈব মূল্যং পঞ্চ-সুবর্ণকম্‌ ৷” “রত্তিকাদলবিস্তারাৎ শ্রেষ্ঠং পঞ্চগুণং যদি । যথা যথা ভবেন্নানং হীনমৌলাং তথা তথা ।” এক রক্তি ওজনের এক খানি নির্দোষ ও উৎকৃষ্ট হীরকের মুল্য ৫ পাঁচ সুবর্ণ ( ৮• রতি অর্থাৎ দ/১০ আনা ওজমের স্বর্ণ মুদ্রার নাম সুবর্ণ। ) ইহাই হীরকের মূল্যের উচ্চসীমা বা মূল্যকেন্দ্র। ইহা অপেক্ষ যত রক্তি ওজনে অধিক, বিস্তারে অধিক ও উৎকৃষ্টতায় অধিক হইবে, ততই তাহার মূল্য প্রত্যেক রক্তি অনুসারে • পাচ গুণ অধিক হইতে থাকিবে, এবং যেমন যেমন হীন হইবে, তেমনি তেমনি মূল্যও হীন হইবে। এই নিয়মটি এদেশে বহুকাল প্রচারিত আছে এবং অধুনাতনকালেও প্রায় এই নিয়মেই হীরকের ক্রয়বিক্রয় সাধিত হইয়া থাকে। উল্লিখিত গ্রন্থে এই সাধারণ নিয়মের অতিরিক্ত কয়েকটি বিশেষ নিয়ম আছে, এস্থলে তাহাও উদ্ধৃত করিলাম। “যথ গুরুতরং বজং তন্ম ল্যং রক্তিবর্গতঃ। তৃতীয়াংশবিহীনস্তু চিপীটস্ত প্রকীৰ্ত্তিতম ॥” “তদদ্ধং শর্করাভস্ত চোত্তমং মূল্যমীরিতম্।”; “রক্তিকায়াশ্চ দ্ধে বজে তদদ্ধং মূল্যমৰ্হতঃ।” “তদদ্ধং বহুবোইছ্‌স্তি মধ্যাহীন যথা গুণৈঃ ।” “উত্তম দ্বং তদদ্ধং বা হীরক গুণহীনতঃ । বর্গরক্তিযু সংধার্য্যং কলানাংiনবকং পৃথক্ ॥” “তথাংশপঞ্চকং পুৰ্ব্বং ত্রিংশস্তিস্তম্ভজেৎ ততঃ ” হীরকের যেরূপ যেরূপ গুরুত্ব অর্থাৎ ওজন হইবে, সেইরূপ সেইরূপ ওজনকে বর্গরতি অর্থাৎকালী করিয়া রতির পরিমাণ বা সংখ্যা কল্পনা করিবেক । পশ্চাৎ সেই বৰ্গ-রতির সংখ্যা বা পরিমাণ মহুসারে মূল্য কল্পনা করিবেক। এক বর্ণ-রতি रं७१ -