পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

总警事 রত্ন-রহস্ত । তাহার বর্ণ অশোকপল্লবের এবং দাড়িমবীজের তুল্য। সিংহলদেশে কৃষ্ণবর্ণ স্কটিক হয় এবং তাহ “নীলম্‌” নামক হীরকের খনিতে জন্মে। পদ্মরাগ মণির আকরে যে স্ফটিক জন্মে, তাহ দুই প্রকার। তাহার এক প্রকারের নাম “রাজাপ্ত ও দ্বিতীয় প্রকারের নাম ‘রাজময়"। রাজাবৰ্ত্ত নামক স্ফটিক অতি নিৰ্ম্মল, অন্ত রাল হুচ্ছ, জলস্রাবীর ন্যায়, অর্থাৎ চন্দ্রকাস্তমণির দ্যায়। এরূপ স্ফটিকের জ্যোতীরস নাম প্রদত্ত হয়। এবং এইরূপ গুণযুক্ত স্ফটিক লোহিত বর্ণ হইলে তাঙ্গ "রাজবৰ্ত্ত’ আখ্যা ধারণ করে এবং নীলবর্ণ হইলে “রাজময়” নাম প্রাপ্ত হয়। এতদ্বারা সিদ্ধান্ত হইতেছে যে, “আকরে পদ্মরাগাণাং জন্ম কাচমণেঃ কুতঃ ?” এই পুরাতন আর্ষ বাক্যস্থ “ক{চমণি’ শব্দের অর্থ স্ফটিক নহে। প্রকৃত কাচকেই কাচমণি শব্দে উল্লেখ করা হইয়াছে। পদ্মরাগ অকরে স্ফটিক উৎপন্ন হওয়া অস. ম্ভব নহে । বরং কাচ উৎপন্ন হওয়াই সম্পূর্ণ অসম্ভব। কাচমণি শব্দের প্রকৃত অর্থ, মণিসদৃশ কাচ অর্থাৎ সে কাচ আর স্ফটিক দৃশ্যতঃ প্রায় একরূপ। সুতরাং অনুমিত হইতেছে, যে উক্ত বচনের উৎপত্তিকালে অতিপরিষ্কার কাচ উৎপন্ন হইত। মানসোল্লাস গ্রন্থে প্রথমে স্ফটিকরত্বের, পরে তৎপ্রভেদে চন্দ্রকান্ত স্বৰ্য্যকাস্তের লক্ষণ উক্ত হইয়াছে । তাছাও প্রায় এইরূপ । যথা— “অমৃতাংশুকর প্রখ্যং হৈমাদ্রিশিখরোস্তম্। নিৰ্ম্মলঞ্চ প্রভাযুক্তং স্ফটিকং পরিকীৰ্ত্তিতম্ ॥ তপনস্যাতপম্পৰ্শাৎ উদিগরত্যনলং হি য: | সূৰ্য্যকান্তং বিজানীয়াৎ স্ফটিকং রত্নমুত্তমম্। অমৃতাংশুকরম্পর্শাং শ্ৰবতোবাম্তোদকম্। দুর্লভং তং মহারভুং চন্দ্রকান্তং বিজুবুধাঃ।” অর্থাৎ শশিকিরণের দ্যায় ধবলবৰ্ণ, হিমালয়াদি পৰ্ব্বতোদ্ভব, নিৰ্ম্মল ও প্রভাযুক্ত প্রস্তরবিশেষই স্ফটিক নামে অভিহিত হইয় থাকে। তন্মধ্যে যে মহাস্ফটিক হুৰ্য্যকিরণম্পর্শে অগ্নি উদগিরণ করে সেই স্ফটিকের নাম স্বৰ্য্যকান্ত এবং ইহাই উৎকৃষ্ট এবং যে উৎকৃষ্ট স্ফটিক হইতে চন্দ্রকিরণের সংস্পর্শে অমৃতময় জল ঘৰ্ম্মকারে প্রক্রত হয় তাহার নাম চন্দ্রকান্ত । এই চন্দ্রকান্ত নামক মহীরঙ্গ অতি দুর্লভ, ইহ রত্নবিৎ পণ্ডিতেরা বলিয়া থাকেন। অতএব জানা গেল যে, বর্ণ, আকর ও গুণের তারতম্য অনুসারে ইহার চন্দ্রকান্ত, স্বৰ্য্যকস্ত, রাজাবৰ্ত্ত, রাজময়, ব্রহ্মময়, জ্যোতীরস প্রভৃতি অনেক নাম হইয়াছে । & ३*br