পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রত্ন-রহস্ত । ృsళ কালের লোকের কাচের প্রকৃতি বা উপাদান সম্বন্ধে জনভিজ্ঞ ছিলেন না । এতদ্ভিন্ন আমরা কাচের “ক্ষারমণি” নামও প্রাপ্ত হইয়াছি। চন্দ্রগুপ্তের সমসাময়িক বাৎস্যায়ন মুনি যে দ্যায়স্থত্রের ব্যাখ্যা প্রচার করিয়া ছাত্রবর্গের মহোপকার করিয়াছেন, ব্যাসশিষ্য অক্ষপাদ ঋষিক্ত সেই দ্যায়সুত্রেও কাচের উল্লেখ আছে । যথা “অপ্রাপ্যগ্রহণং কাচাত্ৰপটল, স্ফটিকান্তরিতোপলন্ধেঃ ” ( ৪৪ স্বত্র ) এই স্বত্র প্রত্যক্ষ প্রমাণ বিনির্ণয়প্রসঙ্গে লিখিত। চক্ষুরিস্ক্রিয় যে কাচ, অভ্র ও স্ফটিক ভেদ করিয়া গিয়া তদন্তরালস্থ বস্তুকে গ্রহণ করে, এ স্থত্রে তাহই বল হইতেছে । সুতরাং কাচ আর স্ফটিক যে বিভিন্ন পদার্থ এবং তাহ ৩০০০ সহস্ৰ বৎসরের পূর্বের লোকেরা বিদিত ছিল—ইহা বলা বাহুল্য। মহাভারত ও উপনিষদাদি প্রাচীন গ্রন্থে যেভাবে আদর্শ ও দর্পণাদি শব্দের উল্লেখ দৃষ্ট হয়, তাহা কাচ বলিয়া গ্রহণ করিলেও করা যায়। অত্যন্ত আদিম অবস্থায় এদেশে তীক্ষ লৌহ ও অন্তস্ত ধাতুবিশেষকে প্রতিবিম্বপাতযোগ্য ( পলিস ) নিৰ্ম্মল করিয়া তাহাকে দর্পণ বা আদর্শ নামে আত্মমূৰ্ত্তি দর্শনার্থ ব্যবহার করিত বটে, কিন্তু মহাভারতাদির সময় কাচময় ও স্ফটিকময় দর্পণের ব্যবহার আরম্ভ হইয়াছিল সন্দেহ নাই , অমুরগুরু মহর্ষি শুক্রাচাৰ্য্য স্বকৃত রাজনীতিগ্রন্থে “কাচাদেঃ করণং কলা ।” ইত্যাদি ক্রমে কাচ প্রস্তুত করিবার উপদেশ করিয়াছেন। এতদকুসারেও কাচ এদেশের বহু প্রাচীন ও এদেশেরও কৃতিসাধ্য বস্তু । প্রাচীন মিশর দেশে কাচের ব্যবহার ছিল। ১৮• • খৃষ্টাব্দের পূর্কের নৃপতিগণের সমাধির উপরে নানাবর্ণের কাচের কারুকার্য্য পরিলক্ষিত হয়। রাঙ্গী হাতাস্কর সময়ের নীল, লোহিত ও বিবিধ বর্ণের কাচনিৰ্ম্মিত পানপত্রি, পুষ্পগুচ্ছাধার প্রভৃতি সম্প্রতি “ব্রিটিশ মিউসিয়মে’ প্রেরিত হইয়াছে। এ সকল ১৪৪৫ খৃষ্টাবের পুৰ্ব্বে প্রস্তুত হইয়াছিল। হিরোডোটস লিখিয়াছেন, ইথোপিয়নর কাচের আধারমধ্যে মৃতদেহ রাখিত, কিন্তু এপর্য্যন্ত মিশর দেশের প্রশ্নতত্ত্ববিদগণ ঐক্ষপ আধার দর্শন করেন নাই। আসেরিয়া নিম্রডের ধ্বংশ মধ্যে বিবিধ আকারের কাচপাত্র মৃত্তিক মধ্য হইতে প্রাপ্ত হওয়া গিয়াছে। ঐ সকল প্রাচীন সময়ের কাচ প্রভাহীন ও স্বচ্ছ নহে। ইউরোপীয়গণ দ্বার কাচের উৎকর্ষ সংসাধিত হইয়াছে এবং প্রতিবৎসর ইহার উন্নতি হইতেছে। এমন কি, Ψφ Φ