পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাৰ্য্যজাতির যুদ্ধাস্ত্র । ஆக: “শতঘ্নী কণ্টকযুত কালায়সময় দৃঢ় । মুদগরাভা চতুর্হস্ত বৰ্ত্ত লাৎসরুণী যুত । গদাবলগিতবতোষ ময়েতি কথিত তব ॥” ( ময়েন কথিত ভূবি, এরূপ পাঠও আছে ) কণ্টকাচিত, লৌহসার নিৰ্ম্মিত, মুদগরকল্প, সুদৃঢ় ও বৰ্ত্তল শতঘ্নী নামক আয়ুধের প্রমাণ ৪ হাত এবং তাহার ৎসরু অর্থাৎ মুট আছে। গদাযুদ্ধের বরন অর্থাৎ প্রয়োগ কালীন আস্ফালন যেরূপ, ইকারও বল্লন সেই রূপ । বৈশম্পায়নের এই বচন শতন্ত্রীকে মুদগরবিশেষ বলিয়া প্রতিপন্ন করিলেও তন্নামক আগ্নেয়-অস্ত্রবিশেষ যে ছিল না, এরূপ সিদ্ধাস্ত করা যায় না । কেন না ইহার দ্বারা এককালে শত পুরুষের হনন সিদ্ধি হয় না এবং অগ্নিপ্রদীপ্তও হয় না । সুতরাং শতন্ত্রী নামক অন্ত কোনরূপ আগ্নেয়াস্ত্র ছিল বলিয়াই অনুমিত হয় । মহাভারতের অন্ত একটা বচন আছে, তদ্ধ ষ্টে এ অনুমান নিঃশক্ষিত হইতে পারে । যথা— “মুদগরৈঃ কুটপাশৈশ্চ শূলোলুথলপৰ্ব্বতৈ: | শতঘ্নীভিশ্চ দীপ্তাভিদ গুৈরপি হুদারুণৈঃ ” এবচনে মুদগর হইতে ভিন্ন এক প্রকার প্রদীপ্ত শতন্ত্রী পাওয়া যাইতেছে। এতদ্ভিন্ন মহাভারতের মধ্যে এরূপ শত শত বাক্য অাছে, যাহার অর্থ ও তাৎপৰ্য্য পৰ্য্যালোচনা করিলে মুদগরকল্প শতন্ত্রী হইতে ভিন্ন অন্ত একরূপ আগ্নেয়-শতন্ত্রী ছিল বলিয়া নির্ণয় হইতে পারে । সেই জন্তই টীকাকার নীলকণ্ঠ ভট্ট ইহাকেও সেই সেই স্থানের শতন্ত্রীকে আগ্নেয়ন্দ্রব্যবলপ্রযোজ্য “কামান” বলিয়া ব্যাখ্যা করিয়াছেন । ফল, ( শতন্ত্ৰী-শব্দের দ্বারা কামানের পূর্বাস্তিত্ব সিদ্ধ না হউক, পূৰ্ব্বে যে সকল প্রমাণ প্রদত্ত হইয়াছে, তদ্বারা কামানের পূর্বাস্তিত্ব প্রতিপন্ন হইয়াছে, সন্দেহ নাই । “স্থণ—স্থণস্তু রক্তদেহঃ স্তাৎ সমীপবৃঢ়পূৰ্ব্বকঃ । পুষ্প্রমাণ ঋজুস্তম্মিন ভ্রামণং পাতনং স্বয়ম্।” রক্তবর্ণ, ঘনগ্রস্থিল, পুরুষপ্রমাণ লম্বা ও ঋজু অর্থাৎ সোজা লৌহবাণের নাম স্থণ । ইহার ভ্রামণ ও নিপাতন এই দুইটি মাত্র ক্রিয়া আছে । বৈশম্পায়ন মুনির ধদুৰ্ব্বেদে এতদ্ভিন্ন আরও কতকগুলি দেবাস্ত্র মন্তযুক্ত অস্ত্রের উল্লেখ আছে। সে সকলের স্বরূপ কি ? তাহ বর্ণিত হয় নাই, সুতরাং কেবল মাত্র নামের উল্লেখ করায় উদ্বারা কোন রূপ জ্ঞান