পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৫৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ওঁৰ বুদ্ধদেৰ । অলৌকিক জীবন প্রাপ্ত মহাপুরুষ । এই সময়ে মগধরাজ র্তাহাকে নিজ রাজধানীতে পদার্পণ করিবার অনুরোধ করিয়া পাঠান, তদুপলক্ষে তিনি সশিষ্যে পুনৰ্ব্বার মগধাগমন করেন । মগধে আসিয়া উরুবিল্লের নিকটবৰ্ত্তী মনোরম কাননে ৰিহার স্থাপন করেন। এই স্থানে দ্বিজতনয় কাগুপের সহিত র্তাস্থার পরিচয় হয় । কস্তাপ মগধের এক জন প্রসিদ্ধ লোক । ইনি দার্শনিক পণ্ডিত ও অগ্নিহোত্রী ছিলেন । ইহঁর ভ্রাতৃদ্বয়ও বিলক্ষণ মান্ত গণ্য ছিলেন এবং তাছারাও গৌতমের বিশ্রদ্ধ প্রণয়ালাপে ও নিৰ্ব্বাণ ধৰ্ম্মের মূল স্বত্র শ্রবণে মুগ্ধ হইয়। গৌতমের নির্বাণ ধৰ্ম্মে বিশ্বাস স্থাপন করিলেন । কেবল বিশ্বাস স্থাপন নছে, গৌতমের নিকট দীক্ষিত হইয়৷ তদীয় নিৰ্ব্বাণ ধৰ্ম্ম গ্রহণপূর্বক ভিক্ষুসঙ্ঘ মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়াছিলেন । এক দিন বুদ্ধদেব নবদীক্ষিত শিষদিগকে সঙ্গে লইয়া গয়ার নিকটবৰ্ত্তী গন্ধহস্তী পৰ্ব্বতে বসিয়া আছেন, এমন সময়ে অদূরে এক প্রজলিত দাবানল তাছাদের নয়ন গোচর হইল। গৌতম এই উপলক্ষে নবশিষদিগকে অনেক গুলি মনোহর উপদেশ প্রদান করিলেন । “কাশুপ! ঐ দেখ, কেমন বেগে দাবানল জ্বলিতেছে ! ষত দিন নর নারী বাসনা তৃষ্ণা ও অবিদ্যার অধীন থাকে, তত দিন তাহদের চিত্ত ঐক্কপ প্রজ্বলিত থাকে । মানব যতই মুন্দর দৃপ্ত দেখে, অনুভব করে, ততই তাহদের অন্তরে মুখপৃহা বৃদ্ধি পায়। যেমন যেমন মুখপৃহা বাড়ে, তেমনি তেমনি তাহদের iধমূল দৃঢ় ও ঘনীভূত হয় । বিষয়ঞ্জান ষতই বাড়িবে, তাহারা ততই বৈকারিক দুঃখ মুখে লিপ্ত হইবে । তাহাতেই তাহার জন্ম, মৃত্যু, জরা, ব্যাধি, দুঃখ, ৰীেষ্মনস্ত শোক ও মোহ প্রভৃতি তাপে তপ্যমান হয় ; কিন্তু যাহারা বোধিমার্গে পদার্পণ করেন, তাহার আত্মনিগ্রহের দ্বারা বাসনা ও অহংবিজ্ঞানরূপ বহ্নিকে প্রজ্বলিত হইতে দেন না । তাহার। সমুদায় অন্তরিন্দ্রয়দিগকে সংঘত কল্পির ক্রমে ক্রমে শাস্ত হয়েন । অন্তর পরিশুদ্ধ হইলে,তখন আর এই সকল বিষয় (রূপরসাদি) অস্তরকে উত্তেজিত করিতে পারে না । বহ্নি যেমন ইন্ধন না পাইলে আপন! আপনি নিৰ্ব্বাপিত হয়, সেইরূপ জীবের তৃষ্ণ-বহ্নি বিষয়েন্ধন অভাবে নৰ্ব্বাপিও इहेब्र शां८क ” इंडानि । ঐরূপে কিছু দিন গয়া বিহারের পর তিনি রাজগৃহে (রাজগির পঞ্চাড়ে ) গিয়া বাস করিয়াছিলেন । এই সময়ে মগধের রাজ বিম্বিসার যুদ্ধের নবধৰ্ম্মে,