পাতা:রামদাস গ্রন্থাবলী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ኧ } ভারত-রহস্ত l সম্যক শিতং চাশনি নৈতি ভঙ্গং ন চাম্ভলোঁহেশ্বপি তস্ত কৌষ্ঠ্যম্ ॥” বড়বা-ঘোটকী। উক্ট্র—উট, । করেণু—হস্তিনী । এই সকল পশুর দুগ্ধ পান করাইলে তীরের ফলায় অতি উৎকৃষ্ট ধার হয়। মাছের পিত্ত, মৃগীর দুগ্ধ, কুকুরের দুগ্ধ ও ছাগী দুগ্ধ পান করাইলে হস্তিগুও ছেদন করিবার উপযুক্ত ধার হয় । অর্কক্ষার অর্থাৎ আকদের আটা, ছডু শৃঙ্গের অঙ্গর, পায়রার ও ইদুরের বিষ্ঠা, এই সকল দ্রব্য একত্রিত করিয়া ( পেষণ পূৰ্ব্বক ) তদ্বারা অস্ত্রের সৰ্ব্বাঙ্গ লিপ্ত করিবেক। পশ্চাৎ তাহাতে তৈলসেক পূৰ্ব্বক দগ্ধ করিবেক এবং পূৰ্ব্বোক্ত বিধানে পান দিবেক । অনন্তর তাহাকে শাণিত করিবেক । এইরূপ করিলে সে অস্ত্র প্রস্তরে ভাঙ্গিবে না। প্রত্যুত প্রস্তরই তদ্বারা বিদীর্ণ হইবেক । লৌহ নিৰ্ম্মিত অস্ত্র কদলী ক্ষরে প্রলিপ্ত করিয়া এক দিন পরে পান দিয়া উত্তম শাণিত করিলে তাহ কিছুতেই ভাঙ্গিবে না এবং অন্ত লোহেও তাহার ধার বা তীক্ষতা নষ্ট হইবে না । নারাচ ও নালীক । শর বিধান বলা হইল। পরস্তু নারাচ ও নালীক, এই দুই বাণ উহার অন্তর্গত নহে। সুতরাং এই দুই বাণের কথা স্বতন্ত্র বলা আবশুক । “সৰ্ব্বলে হাস্তু যে বাণ নারাচান্তে প্রকীৰ্ত্তিতাঃ। পঞ্চভিঃ পৃথুলৈঃ পক্ষৈ যুক্তাঃ সিধ্যস্তি কস্তচিৎ।” ( इ, अंt ! ষে সকল রাণ সৰ্ব্বলৌহ অর্থাৎ যাহার সর্বাঙ্গ লৌহময়, সেই সকল বাণের নাম “নারাচ” । শরের বাণে যেমন ৪টা পক্ষ আবদ্ধ থাকে, এই নারীচ বাণে তেমনি এটা পক্ষ আবদ্ধ থাকিবে । পক্ষগুলি শরৰাণ অপেক্ষ মোট ও বড়। এই নারীচ বাণ সকলে আয়ত্ত করিতে পারে না । নালীকান্ত্র । “লধৰে নালিকা বাণী নলযন্ত্রেণ নোদিতাঃ । অত্যুচ্চারপাতেষু ছৰ্গযুদ্ধেযুতে মতাঃ ”