পাতা:রামানুজচরিত - শ্রীশরচ্চন্দ্র শাস্ত্রী.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

y ebe . রামানুজচরিত। তাহাঁদের হস্তেই ন্তস্ত থাকে। যে সকল ভক্ত অন্তিমকালে আমার নাম স্মরণ করেন, আমি নিশ্চয়ই তাহাদিগকে পরমপদ প্রদান করি। তথাপি দীক্ষা গ্রহণ রূপ একটা লৌকিক প্রথ প্রচলিত আছে। রামানুজ, সৰ্ব্বগুণের আধার মহাত্মা পূর্ণাচার্যোঃ আশ্রয় গ্রহণ করুন,—আমার এই আদেশ সত্বর গিয়া তাহাকে জানাও।” কাঞ্চীপুর্ণ ভগবানের উক্তি যাহা শুনিলেন, অবিলম্বে রামামুজের নিকট গিয়া তৎসমস্ত বর্ণন করিলেন। রামায়ুক্ত কাঞ্চীপুর্ণের মুখে বরদরাজের আদেশ শ্রবণ করিয়া বিশ্বিন্ত হইলেন এবং মনে মনে ভাবিলেন “কি আশ্চৰ্য্য! আমার মনে যে চিস্তার উদয় হইয়াছিল,ঠিক বরদরাজ ও তাহাই আদেশ করিলেন। অতএব বিলম্বে প্রয়োজন নাই” এইরূপ স্থির করিয়া রামানুঞ্জ ভগবান বরদরাজ ও কাঞ্চীপুর্ণের আদেশ গ্রহণপূর্বক শ্রীরঙ্গ অভিমুখে যাত্রা করিলেন। পূর্বেই উক্ত হইয়াছে, যামুনাচাৰ্য্য পরমপদ প্রাপ্ত হইয়াছেন। অধুনা তাহার শিষ্য প্রশিস্য ও অন্যান্য বৈষ্ণবগণ ভগবান রঙ্গ নাথের আরাধনা করেন এবং পরমপদ-প্রাপ্ত গুরুদেবের গুণকীৰ্ত্তন ও র্তাহার বিয়োগে ব্যথিত হইয়া কাল যাপন করেন। একদিন, কোন বৈষ্ণক বিষ্ণুভক্ত দ্বিজগণকে শোকার্ক দেধি বলিলেন "ওহে বৈষ্ণবগুণ! পরলোকগত গুরুদেবের জন্ত শো করিয়া কি হইবে ? আমাদের মতের রক্ষক রামানুজাচার্য বিস্তমান আছেন । সেই মহাত্মা এখন সত্যব্রত-ক্ষেত্রে কাঞ্চী নগরে বাস করেন। গুরুদেব যামুনাচার্য্যের যে সকল গুণ ছিল ক্টাহাতে তৎসমস্তই বিদ্যমান। তিনি অসাধারণ বুদ্ধিমান তেজী ভুগবস্তুক্ত ও ক্ষমাশীল। সেই সৰ্ব্বশাস্ত্ৰবিং দসাবান পণ্ডিতীে