রামানুজচরিত। אף ל সেই ব্যাকুলহৃদয়া দিগম্বী বরদার্যা-পত্নী কঁাপিতে কঁাপিয়ে করতালী প্রদান কবিলেন। ঐ রব শুনিয়া, প্রতিভাশাল) গুরুদেবের অভিপ্রায় বুঝিতে বিলম্ব হইল না, তিনি নিজ মস্তকের আবরণ বস্থখানি তাড়াতাড়ি গৃহমধ্যে নিক্ষেপ করিলেন। গল্প সেই সুদীর্ঘ বস্ত্রদ্বাৰা দেহ আবৃত করিয়ু বাহিরে মার্গমন কৰিলেন এবং অগ্রে গুবদেবকে তাহার পর যথাক্রমে অহা বৈষ্ণবকে অত্যন্ত ভক্তি সহকারে প্রণিপাত করিয়ু পাদ্য অৰ্ঘ্য এবং আসন । প্রদানপুৰ্ব্বক পূজা করিলেন। অনন্তর, তিনি মনে মনে ভাবিলেন—আমাদের কত পুণে গুরুদেব গৃহে আগমন করিয়াছেন। শাস্ত্রে উক্ত আছে —" সাক্ষাৎ পরব্রহ্ম, গুরুই শিঘ্যগণেব একমাত্র আশ্রয়। অতএব দেহ মন প্রাণ অর্থ, যাহা কিছু পার্থিব সম্পদ আছে, সমুদয় অর্ণ পুৰ্ব্বক গুকপূজা করবে। যে উছ না কবে সে শিয্য নামের যোগ্যই মহে । আদ্য এক প্রস্থ ধান্য কিস্ব একটি কপদক? গৃহে নাই, এখন আমি কি করি ? যতিরাজ পথশ্রমে বড়ই রাস্ত হইয়াছেন । অতএব যদি কোন অকার্য্য কঃিঃ গুরুসেবা করিতে হয়, এখন আমার তাহা ও অকৰ্ত্তব্য নহে। কারণ, বুদ্ধদের মুখে শুনা যায় পূৰ্ব্বকালে কলিয়নামা কোন বা হর্গম বনমধ্যে অবস্থানপুৰ্ব্বক চৌর্য্যবৃত্তি দ্বারা ধন সংগ্রহ করা ঐবৈষ্ণবদের সেবা করিয়াছিল। সুতরাং আমি গুবসেবা অযুরোধে যদি কোন অণকৰ্ম্ম করি, তাহাতে তামার দোষ হয়; লা, বরং উহা মুক্তির কারণ হইবে । জীব স্বীয় কৰ্ম্মফলে ন্য সংসার চক্রে বিচরণ করে, একমাত্র গুরু তাহার জ্ঞানেপি" দ্বারা মোক্ষ প্রদান করেন। অতএব যাবজ্জীবন গুলি
