পাতা:রামানুজচরিত - শ্রীশরচ্চন্দ্র শাস্ত্রী.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ পরিচ্ছেদ । >しPa প্রস্তাষে স্নানে যাইবার কালে কোকিলকণ্ঠী বাববধূর কণ্ঠোচ্চারিত ভগবৎপ্রেমপূর্ণ তানলয় বিশুদ্ধ মধুর গাথাসকল যেই আমার কর্ণকুছরে প্রবেশ করিল, অমনি আমি আত্মবিস্তৃত হইয়া পড়িলাম, আমার গতিশক্তি তিরোহিত হইল, তন্ময় চিত্তে সেই সংগীত-মুধা পান করিতেছিলাম। যতক্ষণ ঐ সংগীত নিবৃত্ত না হইল, ততক্ষণ সেই স্থানেই দাড়াইয়াছিলাম, এই মাত্র ঐ স্থান ত্যাগ করিয়া মাসিতেছি। ইহাতে যদি আমার কোন অপবাধ হইয়া থাকে, প্রদু তাহার সমুচিত দণ্ডবিধান করুন” । যতিরাজ গোবিদেব উক্তি শুনিয়া অত্যন্ত পরিতুষ্ট হইলেন এবং ঐ সকল বৈষ্ণবগণের মধ্যে গোবিন্দের তন্ময় তাপ ভূয়সী প্রশংসা ক বি ে লাগিলেন । গোবিন্দ পূর্বের দ্যায় অনন্ত মনে যতিরাজের সেবকেল কার্য্যে নিযুক্ত রছিলেন । একদা শৈলপূৰ্ণস্বামীব ভগিনী গোৱিন্দেব জননী দু্যতিমতাদেবী গোবিনের নিকটে আসিয়া বলিলেন ;–“বংস গোবিন্দ ! বধু পুষ্পবর্তী হইয়ছেন, অতএব তুমি গৃহে চা,তাহাব সহিত সংসাবধায় করিবে”। গোবিন্দ বলিলেন জননি ! যে সময়ে আমি যাতরাজের কোন কার্য্যে ব্যাপৃত না থাকি, একান্ত একাকী অবস্থান করি, সেই সময়ে আপনি বধূকে আমার নিকটে আনয়ন করবেন" । দু্যতিম গ্ৰী অনেক দিন প্রতীক্ষা কপিলেন কিন্তু এমন একটি মুহূৰ্ত্তও পাইলেন না, যে সময় গোবিদের নিকট বধূকে উপস্থিত করেন । তাহার পর, তিনি তিরাজের নিকট গিয়া সমুদয় জানাইলেন । যাতরাজ গোবিন্দকে ডাকিয়া বলিলেন ;–“গোবিন্দ ! তুমি জননীর আজ্ঞা পালন কর না কেন ? গৃহে যাও, বধূ তোমার জন্য উৎকণ্ঠিত হইয়া আছেন, শস্ত্ৰ গিয়া তাহার আৰ্ত্তি = বিশ্রান্তি (১) কর। যথাবিধি ঋতুরক্ষা (১) আর্হিবিশ্রান্তি—আথে বাসন চরিতার্থ করা।

  • -*— -