পাতা:রামানুজচরিত - শ্রীশরচ্চন্দ্র শাস্ত্রী.pdf/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨ ૧bઝ রামামুক্ত চরিত । করিল। डिर्मि ভাবিলেন আর কেন ? এখন পৃথিবী ত্যাগ করিয়া বাওয়াই শ্ৰেয়: একদিন তিনি রঙ্গনাথের নিকট গিয়া পরম পদ প্রার্থনা করিলেন । রঙ্গনাথ প্রসন্ন হইয়া পরমপদ লাভ হইবে, বলিয়া বর দিলেন । সহসা যতিরাজ শুনিতে পাইলেন কুরেশের চরমদশ আগত । তিনি শিষ্যগণ সহ সত্বরাষ্ট্ৰকেশব গৃহে উপস্থিত হইলেন। কুবেশকে মৃত্যুশয্যায শান্তি দেখিয়। যতিরাজ সাশ্রনেত্ৰে বলিলেন ;-—“কূরেশ! একি তোমাতে আমাতে যে কোনই ভেদ নাই, তবে তুমি আমাকে তাগ করিয়া অগ্ৰে যাইতেছ কেন ?" অনন্তর কুরেশ ও যতিবাজে অনেক কথোপকথন হইল। কুরেশ যতিরাজের পদধূলি মস্তকে পৃষ্ঠ বক্ষে গ্রহণ করিয়া পাদোদক পান করিলেন । তাহাব পপ, বলিলেন—“গুরুদেব! অনেকক্ষণ মঠ পরিত্যাগ করি আসিয়াছেন, অবিলম্বে মঠে গমন কবন। আপনি অধিকক্ষণ মঠে অনুপস্থিত থাকিলে ভগবান রঙ্গনাথের সেবার ব্যতিক্রম হইবে।” যতিবাজ কুরেশের কথা শুনিয়ু অনিচ্ছাসত্ত্বেও উঠিয় দাড়াইলেন। সেই তিনি মঠাভিমুখ হইয়াছেন, অমনি কুরেশ গুকদেবের দিকে দৃষ্টপাতপূর্বক কম্পি তকলেবরে উঠয়া কৃতাঞ্জলি হই রহিলেন । বিষণ্ণবদনা সাধবী আন্দোল পতিকে ধবিয়া পার্থে দাড়াইলেন। যতিরাজ পশ্চাতে দৃষ্টপাত করিয়া ঐ রূপ দুৰ্বল শরীরে দাড়াইতে বহু বার নিষেধ করিলেন। কিন্তু যতক্ষণ যতিরাজ দৃষ্টিপথ অতিক্রম না করিলেন, ততক্ষণ কুরেশ ঐ অবস্থায়ই রহিলেন । তাহার পর, পত্নীকে জিজ্ঞাসা করিলেন ;– “প্রিয়ে ! এখন তোমার মনের অবস্থা কি প্রকার ?” আন্দোল অতিকাতর ভাবে উত্তর করিলেন "প্রভো স্বামিন্‌! দাসীর মনের