পাতা:রামানুজচরিত - শ্রীশরচ্চন্দ্র শাস্ত্রী.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 ο রামানুজচরিত। তিব্বত, তাতার ও বেলুচিস্থান পৰ্য্যস্ত গমন করিয়া জ্ঞানধৰ্ম্মে আলোক বিকীর্ণ করিয়াছিল। এমন কি গ্রীস, রোম মিশর বৌদ্ধ-প্রচারকগণের অপরিজ্ঞাত ছিল না। বৌদ্ধধৰ্ম্ম নীতিপ্রধান। বুদ্ধের ধৰ্ম্মের প্রধান কথাইঞ্জিয়-সংযম, ভোগ-বাসনা-পরিহার, পরার্থে আত্মত্যাগ, সং রের অনিত্যতা স্মরণ ও দেহাস্তে নিৰ্ব্বাণ-লাভের উপায় চিন্ত বুদ্ধ, স্ত্রী-জাতি সম্বন্ধে বড় সতর্ক ছিলেন। যদিও তাহার জীব কালেই অন্যতম শিষ্য আনন্দের অনুরোধে স্ত্রীজাতি দ্বারা ভিক্ষুণ সম্প্রদায় গঠিত হইয়াছিল এবং ঐ সকল পবিত্র-স্বভাবা মহিল দের দ্বারা স্ত্রী জাতির মধ্যে জ্ঞান ধৰ্ম্ম প্রচারের যথে সাহায্য হইয়াছিল, তথাপি তিনি রমণীদের সহিত ব্যবহা বৌদ্ধ-শ্রমণদিগকে সাবধান হইতে উপদেশ দিয়াছিলেন। বু কৰ্ম্মফল স্বীকার কবিতেন । তিনি বলিতেন "জীব সং । অসং যেরূপ কৰ্ম্ম করিবে, পবিণামে তাহার তদনুরূ শুভ বা অশুভ ফল লাভ হইবে।” মহৰ্ষি কপিলের সাংখাম হইতে বৌদ্ধধৰ্ম্মেব মূলতত্ত্ব পরিগৃহীত হইয়াছিল, তজহু কপিলে স্যায় বুদ্ধ ও ব্রহ্ম বা ঈশ্বর স্বীকার কবেন নাই। বুদ্ধ স্বয়ং উ। দেশ প্রদানের সময় বুর্ণভেদ সম্বন্ধে কিছু বলেন নাই,কিন্তু ব্যবস্থা কালে বৌদ্ধধৰ্ম্মে দীক্ষিত প্রত্যেক বর্ণের অরগ্রহণ ও প্রতো বর্ণের প্রতি ধৰ্ম্ম প্রচারের, ভার অর্পণ করিয়া বর্ণভেদের মু কুঠারাঘাত করিয়াছিলেন। সাধারণে বুঝিতে পরিবে না বলি তিনি সংস্কৃত ভাষায় উপদেশ দিতেন না, সৰ্ব্বজন-বোধ্য পাি ভাষায় শ্রোতৃগণ সমীপে ধৰ্ম্মমত ব্যাখ্যা করিতেন। বৌদ্ধধৰ্ম্ম-শী তিনভাগে বিভক্ত। বুদ্ধ স্বয়ং যে সকল মনোহর উপদেশ স্থা & | |