পাতা:রামানুজচরিত - শ্রীশরচ্চন্দ্র শাস্ত্রী.pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবতরণিক । 8이 গ্রহণ করিয়া গৃহত্যাগ করেন। শঙ্কর, ভ্রমণ করিতে করিতে সৰ্ব্বপ্রথমে নৰ্ম্মদা-তীরবৰ্ত্তি কোন কাননস্থিত গোবিন্দনাথের আশ্রমে উপনীত হন। ঐ আশ্রমে অবস্থান করিয়া সন্ন্যাসী গোবিন্দনাথ শিষদিগকে আরণ্যক-শাস্ত্র বা ব্রহ্মবিদ্যার উপদেশ প্রদান করি তেন । তজ্জন্ত সাধারণের মধ্যে তিনি গুরুগোবিন্দনাথ নামে খ্যাত ছিলেন । বেদাস্তুশাস্ত্রে দৃঢ় অস্থর জন্ত পূৰ্ব্ব হইতেই শঙ্করের হৃদয়ে অদ্বৈত ব্ৰহ্মজ্ঞান উৎপন্ন হইয়াছিল, তথাপি তিনি আচারমুরোধে গোবিন্দুনাথের নিকট যথাবিধি দীক্ষা গ্রহণ করেন । তাহার পর, তিনি গুরুর অনুমতি গ্রহণ করিয়া ভ্রমণ করিতে করিতে অসংখ্য যজ্ঞ স্তম্ভে---পরিশোভিত বারাণসী ক্ষেত্রে গমন করেন । কিছু কাল ঐ স্থানে অবস্থান করিয়৷ বেদান্তব্যাখ্যা ও অদ্বৈতব্ৰহ্ম বিষয়ে উপদেশ- প্ৰদান করেন। সনন্দন প্রভৃতি কতিপয় শিষ্য ঐ সময়ে তাহার নিকট দীক্ষা গ্রহণ করেন । শঙ্করের অদ্বৈত ব্ৰহ্মজ্ঞান উৎপন্ন হইলেও লৌকিক বৰ্ণভেদ বিষয়ে চিরাচরিত সংস্কার বিদ্যমান ছিল । একদিন শিষ্যগণের সহিত জাহ্লবীমানে গমনকালে কোন একটি বিশেষ ঘটনায় তাহার পূর্বাভ্যস্ত সংস্কার অন্তহিত হয় । তিনি বুঝিতে পারেন, কীট হইত ব্ৰহ্ম পৰ্য্যস্ত সকুল পদার্থই এক অদ্বিতীয় পরমাত্মা বিরাজমান । অস্বরমণি স্ব" জঙ্কিৰী-জলে অথব{ মদিবাপাত্রে যেখানেই প্রতিবিম্বিত উন না কেন, তিনি এক ভিন্ন দুই নহেন। অতএব-এ ব্রাহ্মণ এ শূদ্র এরূপ কল্পনা কুসং স্থার মাত্র । . {\ – তাহার পর, শঙ্কর শিষ্যগণ সহ তীর্থযাত্রীদের সহিত পুণ্যভূমি বদরিকা শ্রমে উপস্থিত হন এবং এই পবিত্ৰক্ষেত্রে অবস্থান কালেই