পাতা:রামানুজচরিত - শ্রীশরচ্চন্দ্র শাস্ত্রী.pdf/৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬২ রামামুজচরিত। অভিনিবেশ সহকারে পাঠ করিলে স্পষ্ট অনুভূত হয়, ঐ গ্রন্থ ভগবান রামানুজাচার্য্যের আবির্ভাবের পরে, এমন কি তাহার থ্যাতি এবং প্রভাব যখন সমস্ত ভারতবর্ষময় পরিব্যাপ্ত হইয়াছিল, সেই সময়ে লিপিবদ্ধ হইয়া স্কন্দপুরাণ-মধ্যে প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে। স্কন্দপুরাণ অষ্টাদশ মহাপুরাণের অন্তর্গত বটে, কিন্তু উহাতে যত নূতন বিষয় প্রক্ষিপ্ত হইয়াছে, অন্য কোন পুরাণেই তত হয় নাই। স্কন্দ-পুরাণ এ পর্য্যন্ত সম্পূর্ণ মুদ্রিত হয় নাই। কিম্বদন্তী এইরূপ যে, আজ পর্য্যন্ত ও প্রক্ষেপ-ক্রিয়ার সাহায্যে উহার আয়তন পরিবদ্ধিত হইতেছে। স্কন্দপুরাণ ব্যতীত অন্যান্য পুরাণ উপপুরাণ যামল তন্ত্র প্রভৃতি গ্রন্থে বেদব্যাস বৈশম্পায়ন হরপাৰ্ব্বতী প্রভৃতির নামে যে কত অভিনব শ্লোক ও উপাখ্যান চলিয়া যাইতেছে, কেহ তাহার ইয়ুক্ত করিতে পারে না । মুসলমান-অধিকারের কিছুকাল পূৰ্ব্ব হইতে শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত সম্প্রদায়ের মধ্যে পরস্পর জিগীষা-বৃদ্ধি হওয়ায় এই প্রক্ষেপ-প্রথা প্রবর্তিত হয়। তৃতপুরী মাহীষ্মের ন্যায় যদি শুধু উৎকৃষ্ট রচনা-সমূহই শাস্ত্র-গ্রন্থে প্রক্ষিপ্ত হইত, তাহাতে ক্ষতি ছিল না, কিন্তু সময়ে সময়ে এমন সকল নিকৃষ্ট বিষয় প্রবেশ লাভ করিয়াছে যে, উহা দেখিয় প্রক্ষেপ কারীদের প্রতি ঘৃণার উদ্রেক হইয় থাকে। (১) (১) স্কন্দপুরাণ বহুবিস্তৃত । আমরা অবন্তীখণ্ড, সেবাথও, সহাদিথঃ ও উৎকলখণ্ডের অনেকাংশ পাঠ করিয়াছি। রেবাধও ও অবস্থীখণ্ডে মধ ভারতবর্ষের অনেক তীর্থমাহাস্থ্য ও ঐ দেশীয় ব্রাহ্মণগণের কীৰ্ত্তি কলাপ কথা আছে। উৎকলখাও উংকঙ্গের তীর্থসমূহের ও ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের বিবর আছে । কিন্তু সহাদ্রিথওে অস্থান্ত বিষয়ের সহিত কোঙ্কণন্থ-ব্রাহ্মণ ও করহাট গ্রাহ্মণের দারুণ নিন্দাবাদ লিপিবন্ধ হইয়াছে। কেহ কেহ মনে করেন, কোঙ্ক ?