পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জারণ্যকাও ৷ S 86: অনন্তর রাম জানকীর এই বাক্য শ্রবণ এবং অৰুণবর্ণ নক্ষত্রপধচিত্রিত মৃগকে দর্শন পূর্বক বিস্ময়াবেশে মনের উল্লাসে লক্ষণকে কছিলেন, বৎস! দেখ, সীতার মৃগলাভের স্পৃহা কি প্রবল হইয়াছে । আজ এই মৃগ অসামান্য রূপের জন্য আমার হন্তে বিনষ্ট হইবে । পৃথিবীর কথা দূরে থাক, চৈত্ররথ কাননেও ইহার অনুরূপ একটি নাই । ইহার দেহে স্বর্ণবিন্দুখচিত অনুলোম ও বিলোম রোমরাজি কেমন শোভা পাইতেছে! মুখ- . বিকাশকালে অনলশিধাতুল্য উজ্জ্বল জিম্ব মেঘ হইতে বিদ্যুতের ন্যার কেমন নিঃসৃত হইতেছে! ইহার আস্যদেশ ইন্দ্ৰনীলময় পানপত্রের ন্যায় সুন্দর, এবং উদর শঙ্খ ও মুক্তার ন্যায় মনোহর । জানি না, এই নিৰুপম মৃগকে নয়নগোচর করিলে কাছার মন প্রলোভিভ ন হয় ? এই স্বর্ণপ্রভ রত্নময় দিব্য রূপ দর্শনে কে না বিস্মিত হইয় উঠে ? বৎস! ভুপালগণ মাংসের জন্য হউক, বা বিহারার্থই হউক, ৰনে গিরা মৃগ বধ করেন, এবং ঐ প্রসঙ্গে মণিরত্নাদি ধনও সংগ্ৰহ করিয়া থাকেন । ব্রহ্মলোকগত জীবের সঙ্কম্পমাত্রসিদ্ধ ভোগ্য পদার্থের ন্যায় এই কোশবৰ্দ্ধন বন্য ধন যে, অপেক্ষাকৃত প্রশস্ত, তাছার আর সনেছি নাই । দেখ, অর্থলুন্ধের অর্থমূলক যে কার্যের উদ্দেশে অবিচারিত চিত্তে প্রবৃত্ত হন, অর্থশাস্ত্রজ্ঞেরা তাছাকেই অর্থ বলিয়া নির্দেশ করিয়া থাকেন। এক্ষণে জানকী এই মৃগের উৎকৃষ্ট স্বর্ণময় চৰ্ম্মে