পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬২ রামায়ণ । করিয়াছেন। এক্ষণে আমরা কৈকেয়ীর জন্য রাজ্যচ্যুত হইয়া, স্বতেজে নিবিড় বনে বিচরণ করিতেছি । তুমি ক্ষণকাল বিশ্রাম কর, এস্থানে অবশ্য বাস করিতে পাইবে । আমার স্বামী নানা প্রকার পশু হনন ও পশুমাংস গ্রহণ পূর্বক শীঘ্ৰ আসিবেন। ৰিপ্র! অতঃপর তুমিও আপনার নাম ও গোত্রের যথার্থ পরিচয় দেও, এবং কি কারণে একাকী দণ্ডকারণ্যে স্ট্রমণ করিতেছ, - তাহাও বল । সীতা এইরূপ জিজ্ঞাসিলে রাবণ দাৰুণ বাক্যে কচিল, জানকি! যাহার প্রতাপে দেবাসুরমনুষ্য শঙ্কিত হয়, আমি সেই রাক্ষসাধিপতি রাবণ । তুমি স্বর্ণবর্ণা ও কোঁশেয়বসনা, তোমায় দেখিয়া স্বীয় ভাৰ্য্যাতে আর প্রীতি অনুভব করিতে পারি না । আমি নানা স্থান হইতে বহুসংখ্য মুরূপ রমণী আহরণ করিয়াছি, এক্ষণে তুমি তৎসমুদায়ের মধ্যে প্রধান মহিষী হও । লঙ্কা নামে আমার এক বৃহৎ নগরী আছে, উছ সমুদ্রে পরিবেষ্টিত এবং পৰ্ব্বতোপরি প্রতিষ্ঠিত । যদি তুমি আমার ভাৰ্য্যা হও, তাহা হইলে ঐ লঙ্কার উপবনে আমারই সহিত পরিভ্রমণ করিবে ; সুবেশ পঞ্চ সহস্ৰ দাসী তোমার পরিচর্যায় নিযুক্ত থাকিবে, এবং এই বনবাসে আর ইচ্ছাও হইবে না । তখন সীতা কুপিত হুইয়া, রাবণকে সবিশেষ अनाम পূর্বক কৰিতে লাগিলেন, যিনি ছিমাচলের ন্যায় স্থির, এবং সাগরের