পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যকাণ্ড । - * >や○ ন্যায় গম্ভীর, সেই দেবরাজতুল্য রাম যথায়, আমি সেই স্থানে যাইব যিনি বট বৃক্ষের ন্যায় সকলের আশ্রয়, যিনি সত্যপ্রতিজ্ঞ কীৰ্ত্তিমান ও সুলক্ষণ, সেই মহাত্মা যথায়, আমি সেই স্থানে যাইব । যাহঁর বাহুযুগল সুদীর্ঘ, বক্ষঃস্থল বিশাল, ও মুখ পূর্ণচন্দ্রের ন্যায় কমনীয় ; যিনি সিংহতুল্য পরাক্রান্ত ও সিংহবং মন্থরগামী ; সেই মনুষ্যপ্রধান যথায়, আমি সেই স্থানে যাইব । রাক্ষস ! তুই শৃগাল হইয়া, দুর্লভ সিংহীকে অভিলাষ করিতেছিস ? যেমন স্থৰ্য্যের প্রভাকে স্পর্শ করা যায় না, সেই রূপ তুই আমাকে স্পর্শও করিতে পারিবি না। রে নীচ ! যখন রামের প্রিয়পত্নীতে তোর স্পৃহা জন্মিয়াছে, তখন তুই নিশ্চয়ই স্বচক্ষে বহুসংখ্য স্বর্ণবৃক্ষ দেখিতেছিস * । তুই মৃগশক্র ক্ষুধাতুর সিংহ ও সপের মুখ হইতে দন্ত উৎপাটনের ইচ্ছা করিতেছিস ? দুই হস্তে মন্দর গিরিকে ধারণ এবং কালকূট পান করিয়া সুমজলে গমন সংকল্প করিয়াছিস, স্থচৗমুখে চক্ষু মার্জন এবং জিহ্বা দ্বারা ক্ষুর লেহন অভিলাষ করিভেছিস । কণ্ঠে শিলারন্ধন পূৰ্ব্বক সুমুদ্র সন্তরণ, চন্দ্রস্থৰ্য্যকে গ্রহণ, প্রজ্বলিত অগ্নিকে বস্ত্রে বন্ধন, এবং লৌহময় শূলের মধ্য দিয়া সঞ্চরণ করিবার বাসনা করিতেছিম, । দেখ, সিংহ ও শৃগালের যে অন্তর,

  • মৃত্যুলক্ষণ।