পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>bパッ রামায়ণ । তোর এই কুলকলঙ্কজনক চরিত্রেও ধিক্‌। তুই যখন আমায় এইরূপে হরণ করিয়া ধাবমান হইতেছিল, তখন আমি আর কি করিব ; তুই ক্ষণকাল অপেক্ষা কর, জীবন থাকিতে যাইতে পারিবি না । সেই দুই রাজকুমারের চক্ষে পড়িলে, সসৈন্যেও তেীর নিস্তার নাই। পক্ষী অরণ্যে প্রজ্বলিত অগ্নির স্পর্শ যেমন সহিতে পারে না, সেইরূপ উছাদের শরম্পর্শ ভোর কিছুতেই সহিবে না। এক্ষণে যদি তুই ভাল বুঝিস ত আমায় পরিত্যাগ কর, অন্যথা আমার স্বামী ৰুষ্ট হইয়া, নিশ্চয় তোরে বিনাশ করিবেন । তুই যে অভিপ্রায়ে আমাকে বলপূর্বক লইয়া যাইতেছিস , তাহ অত্যন্ত জঘন্য, তোর সেই মনোরথ কোনক্রমে সফল হইবে না । আমি শক্রর বশবৰ্ত্তিনী হইয়া, দেব প্রভাব স্বামির আদর্শনে বড় অধিক দিন বাচিব না । রাক্ষস ! এক্ষণে তুই আপনার কি শ্রেয় বুঝিতেছিস না । মনুষ্য মৃত্যুকালে যেমন সকলই বিপরীত করে, তুই সেইরূপই করিতেছিস ; কিন্তু মুমুধুর যাহা পথ্য, তেরি তাহাতে অভিৰুচি নাই। তুই যখন ভয়ের কারণ সত্ত্বে নির্ভয়, তখন তোর কণ্ঠে কালপীশ সংলগ্ন হইয়াছে । ভোরে নিশ্চয়ই স্বর্ণ বৃক্ষ ও শোণিতবাহিনী ঘোরা বৈতরণী নদী দর্শন করিতে হুইবে ; স্বর্ণের পুঙ্গ বৈদুর্যের পল্লব ও লোঁহকণ্টকে পূর্ণ মুতীক্ষ শান্মলী বৃক্ষ এবং डेश्। খড়গপত্রের বনও দেখিতে হুইবে । যেমন বিষ পানে