পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরণ্য কাণ্ড । ২০৩ কৈকেয়ী পুত্রের রাজ্যলাভে সিদ্ধসঙ্কণপ ও সুখী হইবেন এবং ঘৃতৰংস তপস্বিনী কৌশল্যাও বিনয়ের সহিত র্তাহার সেব করবেন । লক্ষণ ! যদি সেই মুশীলা জানকী জীবিত থাকেন, তবে আমি পুনৰায় আশ্রমে যাইব, যদি তাহার মৃত্যু হইয়। থাকে, তবে আমিও প্রাণত্যাগ করিব । তিনি আমাকে উপ স্থিত দেখিয়া, হাস্যমুখে বক্যলাপ না করলেও আমি প্রাণে মরিব । বল, তিনি কি জীবিত আছেন ? না তোমার অসাব ধীনতায় রীক্ষসেরা তা হাকে ভক্ষণ করিয়াছে ? হা ! জানকী অতি তৰুণী ও সুকুমারী, ক্লেশ তাহার সহ্য হয় না ; এক্ষণে তনি নিশ্চয়ই আমার বিয়োগে, যার পর নাই বিমন হইয়া, শোক করিতেছেন । বৎস! কুটিল মারীচ, হা লক্ষণ ! বলিয়া উচ্চৈঃস্বরে চীৎকার করাতে তোমারও মনে কি ভয় জম্মিল ? বোধ হয়, জানকী আমার অনুরূপ ঐ স্বর শুনিয়া, শঙ্কিতমনে তোমায় প্রেরণ করিয়া থাকিবেন, তন্নিবন্ধন তুমিও শাস্ত্র আমার দর্শনার্থ উপনীত হইলে । যাহাই হউক, সীতাকে বনে পরিত্যাগ করিয়া অপসা তোমীর কৰ্ত্তব্য হয় নাই । তুমি এই কার্যে নৃশংস রক্ষিপগণের অপকার করিতে অবসর দিয়াছ । ঐ ঘোর মাংসাশীর খরের নিধনে অত্যন্ত দু:খিত রহিয়াছে, এক্ষণে তাহারাই যে সীতাকে সংহার করিবে, ইহতে আর কিছুমাত্র সন্দেহ হইতেছে না। বীর ! আমি অত্যন্ত