পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আরণ্যকাণ্ড । २ २ ¢ পৰ্ব্বত। আমি জানকীশূন্য হইয়াছি, তুমি কি এই সুরম্য কাননে সেই সৰ্ব্বাঙ্গমুন্দরীকে দেখিয়াছ? পরে সিংহ যেমন ক্ষুদ্র মৃগের প্রতি তর্জন গর্জন করিয়া থাকে, সেইরূপ তিনি ক্রোধাবিষ্ট হইয়া উহাকে কহিলেন, তুই সেই স্বর্ণবর্ণ হেমাঙ্গীরে দেখাইয়া দে, নচেৎ আমি ভোর শৃঙ্গ ছিন্ন ভিন্ন করিব । তৎকালে প্রস্রবণ যেন সীতাকে দেখাইয়াও দেখাইল না। তখন রাম পুনৰ্ব্বার কহিলেন, পৰ্ব্বত ! তুই এখনই আমার শরাগ্নিতে ছার খার হইবি । তোর বৃক্ষ পল্লব ও তৃণ কিছুই থাকিবে না, এবং সর্বাংশে লোকের অসেব্য হইয়া রহিবি । তিনি প্রস্রবণকে এই বলিয়া লক্ষণকে কহিলেন, বৎস! আজ যদি এই নদী সেই চন্দ্রাননার কথা না বলে, তবে ইহাকেও শুষ্ক করিয়া ফেলিব । রাম নেত্রজ্যোতিতে সমস্ত দগ্ধ করিবার সঙ্কম্পেই যেন রোষভরে লক্ষণকে এইরূপ কহিতেছেন, ইত্যবসরে রাক্ষসের বিস্তীর্ণ পদচিহ্লপরম্পরা দেখিতে পাইলেন । সীতা নিশাচর ” কর্তৃক অনুসৃত ও ভীত হইয়া, রামের কামনায় ইতস্তত ধাবমান হইয়াছিলেন, তাহার পদচিহ্রও দেখিলেন, এবং ভগ্ন ধনু তৃণীর ও চূর্ণ রথও প্রত্যক্ষ করিলেন । তিনি এই সমস্ত দেখিয়া, ব্যস্তসমস্ত চিত্তে লক্ষণকে কহিতে লাগিলেন, দেখ, জানকীর" অলঙ্কারসংক্রান্ত স্বর্ণবিন্দু ও কণ্ঠের বিচিত্র মাল্য রহিয়াছে, এবং ! কনকবর্ণ শোণিতে ধরাতলও আচ্ছন্ন অাছে ৷ বোধ হয়, কাম[ ২৯ ]