পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ー&ミ○ রামায়ণ | রূপী রাক্ষসেরা তাহাকে খণ্ড খণ্ড করিয়া ভক্ষণ করিয়া থাকিবে । । এই স্থানে দুইটি নিশাচর তাহার জন্য বিবাদে প্রবৃত্ত হইয়া, ঘোরতর যুদ্ধ করিয়াছিল। ঐ দেখ, মুক্তাখচিত মণিমণ্ডিত রমনীয় ধনু ভগ্ন ও পতিত আছে ; এই তৰুণস্থৰ্য্যপ্রকাশ বৈদুর্ঘ্যগুটিকাযুক্ত কাঞ্চন কবচ ছিন্ন ভিন্ন এবং ঐ শতশলাকাসম্পন্ন মাল্যসমলঙ্কত ভগ্নদণ্ড ছত্র রহিয়াছে । এই সমস্ত হেমবৰ্ষজড়িত পিশাচমুখ ভীমমূৰ্ত্তি বৃহৎ খর নিহত হইয়াছে ; এই দীপ্ত পাবকতুল্য উজ্জ্বল সমরধ্বজ ; ঐ সাংগ্রামিক রথ ভগ্ন হইয়া বিপরীতভাবে পতিত আছে ; এই সুদীর্ঘফলক কনকশোভী ভীষণ শর ; ঐ শরপূর্ণ ভূণীর, এবং এই সারথিও বল্গা ও কষা হন্তে শয়ান রহিয়াছে। বৎস! এ সকল কাহার? রাক্ষস না দেবতার? যে পদচিন্তু দেখিলাম, উহা পুৰুষের, নিশ্চয়ই কোন নিশাচরের হইবে । ঐ ক্ররহদয় পামরগণের সহিত আমার সাঙ্ঘাতিক ও আত্যস্তিকই শক্রত হইয়াছিল । এক্ষণে উহারা হয় জানকীরে অপহরণ, নয় ভক্ষণ করিয়াছে । হা ! ধৰ্ম্ম এই মহারণ্যে সীতাকে রক্ষণ করিলেন না এবং দেবগণও অামার শুভচিন্তায় বিমুখ হইলেন ! বৎস! যিনি সৃষ্ট স্থিতি ও সংহার করিয়া থাকেন, যিনি দয়াশীল ও বীর, লোকে মোহবশত উাহাকেও অবজ্ঞা করি পারে । আমি মৃদুস্বভাব রূপাপরতন্ত্র লোকহিতার্থী ও নির্দোষ,