পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$83, রামায়ণ । করবেন না । কুলক্ষণ দৃষ্টে এখনই ভয় সম্ভাবনা করিতেছি । কিন্তু ঐ দাৰুণ বঞ্জ লক পক্ষী ঘোরতর চীৎকার করিতেছে, ইহাতেই বোধ হয়, যুদ্ধে জয়ন্ত্র আমাদেরই হইবে । উছার এইরূপে সীতার অন্বেষণ করিতেছেন, ইত্যবসরে একটি ভয়ঙ্কর শব্দ উৎপন্ন হইল। ঐ শব্দে সমুদায় বন যেন এককালে ভগ্ন ও পূর্ণ হইয়া গেল। বোধ হইল, যেন, অরণ্য প্রদেশ বায়ুমণ্ডলে বেষ্টিত হইয়াছে । তখন রাম তৎক্ষণাৎ খড়গ গ্রহণ পূর্বক লক্ষণ সমভিব্যাহারে উহার কারণ অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইলেন । দেখিলেন, সম্মুখে একটা প্রকাও রাক্ষস । উহার বক্ষ বিস্তৃত, মস্তক ও গ্রীবা নাই, উদরে মুখ এবং ললাটে একটিমাত্র চক্ষু | চক্ষের পক্ষগুলি বৃহৎ, উহা পিঙ্গল স্কুল ঘোর ও দীর্ঘ ; উহা অগ্নিশিখার ন্যায় জ্বলিতেছে এবং সমস্তই দেখিতেছে । ঐ মেঘবর্ণ ক্রোশপ্রমাণ রাক্ষসের দংষ্ট, বিকট এবং জিম্বা লোল ; সৰ্ব্বাঙ্গ তীক্ষ রোমে ব্যাপ্ত এবং পৰ্ব্বতের ন্যায় উচ্চ ; হস্ত এক যোজন ও অতি ভীষণ । সে মেঘবং গর্জন পূর্বক উহা অনবরত ৰিক্ষেপ করিতেছে ; কখন ভয়ঙ্কর সিংহ ভল্লুক মৃগ ও পক্ষি ভক্ষণ, কখন যুথপতিগণকে আকর্ষণ এবং কখন বা দূরে নিক্ষেপ করিতেছে । তখন ঐ মহাবল রাক্ষস রাম ও লক্ষণকে দেখিয়া উছাদের পথ আবরণ করিয়া রহিল । তৎকালে উস্থারাও কিঞ্চিৎ অপসৃত হইয়া উহাকে দর্শন করিতে লাগিলেন ।