পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

રે૯૭ রামায়ণ | “ৰা শীর্ণও হয় না । ঐ বনে মতঙ্গশিষ্যগণের বাসস্থান ছিল। তাহারা গুকর জন্য প্রতিনিয়ত বন্য ফল মূল আহরণ করিতেন । উৎকালে বহনশ্রমে তাহাদের দেহ হইতে যে ধর্মবিন্দু অজস্র ভূতলে পড়িত, উহাদের স্তপোবলে তাহাই পুষ্পরূপে উৎপন্ন হইয়াছে । এক্ষণে বহুদিন অতীত হইল, র্তাহারা লোকান্তরে গিয়াছেন, কিন্তু আজিও তথায় শবরী নামে একটি তাপসী বাস করিতেছেন । ঐ ধর্মপরায়ণ চিরজীবিনী উইণদের পরি চারিক ছিলেন । তুমি সকলের পূজ্য ও দেবপ্রভাব, অতঃপর শবরী তোমায় দর্শন করিয়া স্বর্গারোহণ করবেন । রাম! তুমি ঐ পম্পী নদীর পশ্চিম তীর ধরিয়া, মহৰ্বি মতঙ্গের তপোবন পাইবে উহা অতি রমণীয় ও অনির্বচনীয়। মহর্যির প্রভাবে মাতঙ্গের তথায় প্রবেশ করিতে পারে মা ! যে বনে ঐ আশ্রম, এক্ষণে তাহ মভঙ্গবন বলিষাই প্রসিদ্ধ { ভূমি সেই দেবারণ্যসদৃশ পক্ষিসমাকীর্ণ বলে গিয়া অত্যন্তই মুখী হইবে। ঐ পপার অদূরে ঋষ্যমূক পৰ্ব্বত । তথায় নান প্রকার পুম্পিত বৃক্ষ আছে । শিশু সৰ্পে সমাকীর্ণ বলিয়া উহাড়ে কেহ আরোহণ করিতে পারে না। পূৰ্ব্বকালে ব্রহ্মা ঐ পৰ্ব্বত নির্মাণ করেন । উস্থার দানশক্তি অতি চমৎকার । কেছ উছার শিখরে শয়ান থাকিয় স্বপ্নযোগে যত ধন পায়, জাগ্ৰদবস্থায় ভণ্ড গুলি অধিকার করিয়া থাকে। যদি কোন দুরাচার