পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারণ্যকাণ্ড । N)ను পূর্বক যথানির্দিষ্ট পথে গমন করিতে লাগিলেন । গমনকালে জলকদম্ব, পনস, অশোক, তিনিশ, নক্ৰমাল, মধুক, বিল, ও তিন্দুক প্রভৃতি কুসুমিত বন্য বৃক্ষ সকল দশন করিলেন । ঐ সমস্ত বৃক্ষ মঞ্জরিত লতাজীলে বেষ্টিত আছে, হস্তি শুণ্ডে দলিত হইতেছে, ব'নরগণে শোভিত, এবং উন্মত্ত বিহঙ্গের কলরবে । ধ্বনিত হইতেছে । তদর্শনে পদ্মপলাশলোচন রাম পশ্চাদ্বন্ত্ৰী লক্ষণকে কহিলেন, বৎস ! যেমন শুনিয়াছিলাম এস্থানে তদ্রপই দেখিতেছি, বৃক্ষের পল্লব সকল মুচিকণ এবং মৃগ পক্ষিগণ শাস্তু স্বভাব । এক্ষণে বোধ হয়, মহর্ষির তপোবন আর অধিক দূরে নাই । যিনি স্বকৰ্ম্মগুণে অগস্ত্য নামে খ্যাত হইয়াছেন, ঐ তাহারই শ্রমনাশক আশ্রম । দেখ, প্রভূত ধূমে বনবিভাগ আকুল হইতেছে, কুশ চীর শোভা পাইতেছে, মৃগযুথ নিৰ্ব্বিরোধী, এবং নানা প্রকার পক্ষী চাৰু স্বরে বিরাব করিতেছে । যিনি লোকহিতার্থ কৃতান্ত তুল্য অমুরকে বিনাশ করিয়া এই দক্ষিণ দিক বাসযোগ্য করিয়া দিয়াছেন, সেই পুণ্যশীল মহর্ষি অগস্ত্যেরই এই অtশ্রম সন্দেহ নাই । তঁtহার প্রভাবে রাক্ষসেরা এই দিকে কেবল দৃষ্টিপাতমাত্র করিয়া থাকে, কিন্তু ভয়ে কখন অগ্রসর হইতে পারে না । যাবৎ তিনি এই দিক আশ্রয় করিয়াছেন, তদবধি নিশাচরগণ বৈরশুন্য ও শান্তভাবাপল্প হইয়া আছে। এইরূপ জনশ্রুতি শুনিয়াছি যে, অগস্ত্যের