পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* 2 রামায়ণ । এই রূপে বিরূপ করিল । ত্রিলোকমধ্যে এমন অীর কাঁহাকেই দেখি না, যে আমার অপকার করিতে পারে । যাহাঁই হউক, তৃষ্ণাৰ্ত্ত সারস যেমন নীর হইতে ক্ষীর গ্রহণ করে, সেইরূপ আজ আমি প্রাণসংহীরক শরে মুরগণমধ্যে সহ আলোচন ইন্দ্রেরও প্রাণ হরণ করিব । দেবী বসুমতী শরচ্ছিন্নমৰ্ম্ম নিহত কোন্‌ লোকের সফেন উষ্ণ শোণিত পান করিতে অভিলাষ করিয়াছেন । দলবদ্ধ বিহঙ্গের হৃষ্টমনে কাহার দেহ হইতে মাংস ছিন্নভিন্ন করিয়া ভক্ষণ করিবে । আমি যাহাঁকে আক্রমণ করিব, সেই দীনহীনকে দেবতা গন্ধৰ্ব্ব পিশাচ ও রক্ষিসেরাও রণে রক্ষা করিতে পরিবেন না । ভগিনি । এক্ষণে তুমি অপে অপে সংজ্ঞা লাভ করিয়া, বল, বনমধ্যে কোন দুৰ্ব্বিনীত, বীরত্ব প্রকাশ করিয়া তোমায় পরাভব করিল ? তখন শূৰ্পণখা খরের এইরূপ বাক্য শ্রবণ পূর্বক বাঙ্গাকুললোচনে কহিতে লাগিল, দণ্ডকারণ্যে দশরথের দুই পুত্র আছে । উছাদের নাম রাম ও লক্ষণ । উহারা তৰুণ সুরূপ সুকুমার ও মহাবল , উহাদের নেত্র পদ্মপত্রের ন্যায় বিস্তীর্ণ, এবং পরিধান চার ও কুঞ্চ উহার ফলমূলাহারী ব্রহ্মচারী জিতেন্দ্রিয়, ও গন্ধৰ্বরাজ সদৃশ, উহাদের অঙ্গে সুস্পষ্ট রাজচিন্তু সকল রছিয়াছে । ঐ দুই ভ্রাতা দেবতা কি দানব, আমি তাহা কিছুই । বলিতে পারি না । আমি তাঁহাঁদের মধ্যে সৰ্ব্বালঙ্কারসম্পন্ন।