পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२ রামায়ণ । তখন দুৰ্দ্ধৰ্ষ শূৰ্পণখা খরের এইরূপ সত্ত্বেনা বাক্যে সজলনয়ন মার্জনা করিয়া কছিল, আমি ছিন্ননাসা ছিন্নকর্ণা ও শোণিতপ্রবাহে সমাকীর্ণ হইয়া আইলাম, তুমিও আমাকে সান্তন করিলে । কিন্তু দেখ, আমার প্রিয়সাধন উদ্দেশে, ভীষণ রাম ও লক্ষণকে বিনাশ করিবার নিমিত্ত যে সমস্ত শুলপটিশধারী বেগবান রাক্ষসকে প্রেরণ করিয়াছিলে, তাহার রামের মৰ্ম্মভেদী শীর নিহত হইয়াছে। উহাদিগকে ক্ষণকাল । মধ্যে রণস্থলে নিপতিত এবং রামের এই অদ্ভুত কাৰ্য দেখিয়া আমার অত্যন্ত ব্রাস জন্মিয়াছে । আমি ভীত উদ্বিগ্ন ও বিষন্ন হইয়া পুনৰ্ব্বার তোমীর শরণাপন্ন হইলাম । বলিতে কি, এক্ষণে চতুর্দিকেই ভরের ভীম মূৰ্ত্তি দেখতে । বিষাদ যাহার কুম্ভীর, শঙ্কা যtহার তরঙ্গ, আমি সেই বিস্তীর্ণ শোক সাগরে নিমগ্ন হইয়াছি, তুমি আমাকে উদ্ধার কর । যে সকল নিশাচর আমার রক্ষার্থে গমন করি রছিল, রাম পদাতি হইয়াই তীক্ষ শরে তাছদিগকে বিনাশ করিয়াছে । এ কণে যদি আী মীর ও রাক্ষসগণের প্রতি তোমার দয়া থাকে, যদি রামের সহিত যুদ্ধ করতে তোমর শক্তি বা তেজ থাকে, তাহা হইলে তুমি এই দণ্ডে সেই দণ্ড কারণ্যবাসী রাক্ষ লকণ্টককে বিনাশ কর । সে আমার পরম শত্ৰু, যদি আiজ তাঁহাকে বধ করিতে না পার, তবে আমি নিশ্চয়ই নির্লজ্জা হইয় তোমর সমক্ষে প্রাণ পরি