পাতা:রামায়ণ - আরণ্যকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অরণ্যকাণ্ড । סאף মুখে ফেলিব। আজ বলদৃপ্ত রাম ও লক্ষণকে অস্ত্রপ্রহারে সংহীর না করিয়া ফিরিতেছি না । যাহঁর নিমিত্ত ভtহণদের তাদৃশ বুদ্ধিবৈপরীত্য ঘটিয়াছে, আজ, আমার সেই ভগিনী শূৰ্পণখা তাহাদিগের শোণিত পানে পূর্ণকাম হউন। আমি যুদ্ধে কখন পরাজিত হই নাই, মিথ্যা কহিতেছি না, তোমরাও বারংবার ইহা প্রত্যক্ষ করিয়াছ । এক্ষণে ঐ দুই মনুষ্যের কথা দূরে থাক, যিনি ঐরাবতগামী, আমি ক্রুদ্ধ হইয়া সেই বজধর ইন্দ্রকেও রণস্থলে নিপাত করিব । তখন মৃত্যুপ শবদ্ধ রাক্ষসসৈন্য থরের এইরূপ গৰ্ব্বপূর্ণ বাক্য শ্রবণ পূর্বক ষার পর নাই হয/প্রকাশ করিতে লাগিল । ঐ সময় দেবতা গন্ধৰ্ব্ব সিদ্ধ ও চারণগণ তথায় বিমানে আরোহণ পূর্বক অবস্থান করিতেছিলেন । ইহঁরা পরস্পর মিলিত হইয়া কহিতে লাগিলেন, গো, ব্রাহ্মণ ও লোকসম্মত মহাত্মাদিগের মঙ্গল হউক । চক্ৰধর বিষ্ণু যেমন অমুরগণকে জয় করিয়াছিলেন, সেইরূপ রাম যুদ্ধে নিশাচরগণকে পরাজয় কৰুন । মহর্ষি এবং বিমানারোহী দেবগণ ইত্যাকার নানা প্রকার জম্পনা করত কৌতুহলপরবশ হইয়া ঐ সকল রাক্ষস, সৈন্য দর্শন করিতে লাগিলেন । ইত্যবসরে মহাবীর খর দ্রুতবেগে সৈন্যমুখ হইতে নিৰ্গত ৰইল । শ্যেনগামী, পৃথুশ্যাম, যজ্ঞশক্র, বিহঙ্গম, দুজয়, কর