পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* * * রামায়ণ । উহা উদ্ধার করিবণমাত্ৰ পৰ্ব্বত হইতে গৈরিকদ্রববাহী জল ধারার ন্যায় ত্রণমুখ দিয়া অনর্গল রক্ত বহিতে লাগিল । বালির সর্বাঙ্গ সংগ্রামের ধূলিজালে আচ্ছন্ন, তারা তাছা মার্জনা করিয়া উহঁীকে নেত্রজলে অভিষেক করিতে লাগিলেন, পরে পিঙ্গলচক্ষু অঙ্গদকে কহিলেন, বৎস! দেখ, মহারাজের এই নিদাৰুণ শেষ দশা উপস্থিত । আজি ইহঁপর পাপসঞ্চিত শক্রতার অবসান হইয়। গেল । এক্ষণে এই তৰুণস্থৰ্য্যপ্রকাশ বীর লোকান্তরে চলিলেন, তুমি ইহাকে অভিবাদন কর । তখন অঙ্গদ এইরূপ আদিষ্ট হইবামাত্র গাত্রেণখান করিয়া, আপনার নামোল্লেখ পূৰ্ব্বক স্থল ও বর্ভুল বাহুদ্বয়ে পিতার চরণ গ্রহণ করিলেন । তদর্শনে তারা কহিলেন, নাথ ! অঙ্গদ তোমাকে প্রণাম করিতেছে, কিন্তু পূৰ্ব্বে তুমি যেমন দীর্ঘায়ু হও বলিয়া ইহাকে আশীৰ্ব্বাদ করিতে, এক্ষণে কেন সেরূপ করিলে না ? হা ! সিংহনিহত বৃষের সমীপে যেমন সবৎসা ধেনু থাকে, সেইরূপ আমি পুত্রের সহিত তোমার নিকটস্থ আছি । তুমি রণযজ্ঞের অনুষ্ঠান করিয়াছিলে, কিন্তু আমাব্যতীত রামের অস্ত্রজলে কিরূপে যজ্ঞান্তস্নান করিলে ? ইন্দ্র যুদ্ধে नख्ऊँ इहेब्र তোমাকে যে স্বর্ণহীর দিয়াছিলেন, এক্ষণে তাহা আর কেন দেখিতেছিনা? স্থৰ্য্য অস্তগত হইলেও প্রভা যেমন অস্তাচল পরিত্যাগ করে না, সেইরূপ তুমি বিনষ্ট হইলেও রাজশ্ৰী তোমায়