পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> * > রামায়ণ । তখন তাঁর লক্ষমণের আদেশে সসন্ত্রমে গুহা প্রবেশ করিল এবং শিৰিকা লইয়া পুনরায় আইল । বলবান বানরেরা ঐ শিবিকা বহন করিতেছে ; উছার মধ্যে রাজযোগ্য বহুমূল্য আসন, চতুর্দিকে বৃক্ষ পক্ষী ও পদাতির প্রতিকৃতি অঙ্কিত আছে, উছ রথীকার ও প্রকাণ্ড, উছার সন্ধি সকল মুশ্লিষ্ট এবং নিৰ্ম্মাণ-সন্নিবেশ অতি সুন্দর, উহাতে দাৰুময় ক্ষুদ্রপৰ্ব্বত ও জলবেষ্টিত গবাক্ষ আছে, উহা উৎকৃষ্ট কাৰুকার্যে খচিত, রক্তচন্দনে চর্চিত এবং পুঙ্গ মাল্যে সুশোভিত, উহা রক্তবর্ণ পরম শোভন পদ্মের মাল্য ও বিবিধ ভূষায় সুসজ্জিত এবং উহার উপরিভাগে পঞ্জর প্রসারিত আছে । রাম ঐ শিবিক দর্শন করিয়া লক্ষণকে কহিলেন, বৎস ! এক্ষণে বালিকে শীঘ্র শ্মশানে লইয়া যাও, এবং ইহঁর প্রেতকার্য্য অনুষ্ঠান কর । তখন সুগ্ৰীব অঙ্গদের সহিত রৌদন করিতে করিতে বালিকে লইয়া শিবিকীয় তুলিলেন এবং র্তাহাকে বসন ভূষণ ও মাল্যে সজ্জিত করিয়া বাছকগণকে কছিলেন, এক্ষণে তোমরা নদীকুলে গিয়া আর্যের অন্ত্যেষ্টি কার্য্য অনুষ্ঠান কর । বানরগণ ভুরি পরিমাণে রত্ন বৃষ্টি করত শিবিকার অগ্রে অগ্রে যাক এবং পৃথিবীতে রাজাদিগের যেরূপ সমৃদ্ধি দেখা যায়, সেইরূপ সমারেছে সহকারে প্রভুর সৎকার কৰুক। অনন্তুর বাহকেরা শিবিক লইয়া চলিল । নিরাশ্রয় বানরেরা