পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রামায়ণ । سرانج لا দিকের বায়ু ইহাতে প্রবেশ করিতে পরিবে না। গুহ্যদ্বারে এক সমতল সুপ্রশস্ত শিলা আছে, উহা দলিত অঞ্জনস্ত,পের ন্যায় কৃষ্ণবর্ণ। এই গুহার উত্তরে ঐ একটা মুন্দর শৃঙ্গ দেখা যায়, উহ্য কজলের ন্যায় নীলোজ্বল, বোধ হয়, যেন গগণে গাঢ় মেঘ উত্থিত হইয়াছে। দেখ, দক্ষিণেও আর একটা শৃঙ্গ, উহা রজত ধবল ও বিবিধ ধাতুশোভিত, উহা যেন কৈলাসশিখরের আভা বিস্তার করিতেছে। এই গুহার সম্মুখে, চিত্রকুটে মন্দাকিনীর ন্যায়, একটী নদী পশ্চিমাভিমুখে প্রবাহিত আছে। উহা কর্দমশূন্য ; উছার তীরে চন্দন, তিলক, সাল, অভিমুক্ত, পদ্মক, সরল, অশোক, বানীর, স্তিমিদ, বকুল, কেতক, হিন্তাল, তিনিশ, কদম্ব, বেতস ও কৃতমালক প্রভূতি বৃক্ষ শোভা পাইতেছে । ঐ নদী সুবেশ প্রমদার ন্যায় রমণীয়, ইছার পুলিন অতি সুন্দর, ইহাতে চক্রবাকমিথুন অনুরাগভরে বিচরণ করিতেছে, হংস ও সারসগণ দৃষ্ট হইতেছে, এবং সৰ্ব্বত্র নানা প্রকার রত্ন, বোধ হয়, যেন নদী হাসিতেছে । ইছার কোথাও নীলোৎপল, কোথাও রক্তোৎপল, কোথাও শ্বেত পদা, এবং কোথাও বা কুমুদকলিকা, ইহাতে ময়ুর ও ক্ৰৌঞ্চ দৃষ্ট হইতেছে এবং মুনিগণ স্বানার্থ অবগাহন করিতেছেন । বৎস ! ঐ দেখ, সুচাৰু চন্দন তৰু, ঐ সমস্ত ককুভ বৃক্ষ