পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধাকাণ্ড । ○ ミいう হইতেছে । পৰ্ব্বতের মেঘরূপ কৃষ্ণাজিন, ধারারূপ যজ্ঞস্থত্র, গুহীমুখ বায়ুসংযোগে ধ্বনিত হইতেছে, সুতরাং উহাকে অধ্যয়নশীল বিপ্রের ন্যায় বোধ হয় । নভোমণ্ডল বিদ্যুৎরূপ কনক কশা প্ৰহারে অশ্বের ন্যায় মেঘরবে গৰ্জ্জন করিতেছে। বিদ্যুৎ সুনীল জলদে বিরাজমান, যেন রাবণের অঙ্কদেশে জানকী স্ফূৰ্ত্তি পাইতেছে। এছ ও চন্দ্র আর দৃষ্ট হয় না, ভোগীর প্রিয় দিজুগুল মেঘে লিপ্ত হইয়া আছে। ঐ দেখ, গিরিশৃঙ্গে কুটজ পুঙ্গ বিকসিত, উহ। পৃথিবীর উষ্মায় আবৃত হইয়া, যেন বর্ষার আগমনে পুলকিত হইতেছে। আমি এক্ষণে জানকীর শোকে অভিভূত অছি, ঐ পুঙ্গ দৃষ্টে আমার মন একান্ত বিচলিত হইতেছে। কুত্ৰাপি ধূলি নাই, বায়ু অভিমাত্র শীতল, গ্রীষ্মের উত্তাপদোষ প্রশান্ত, রাজগণ যুদ্ধযাত্রায় এককালে ক্ষান্ত, প্রবাসিরা স্বদেশে যাইতেছে । এখন চক্রবাক সকল মানস সরোবরবাসে লোলুপ হইয়া প্রিয়া সহভিব্যাহারে চলিয়াছে। পথে বিলক্ষণ কদম, সুতরাং এসময় যানের আর গমনাগমন নাই। আকাশ কোথাও সুপ্রকাশ, কোথাও বা মেঘাচ্ছন্ন, সুতরাং উহা শৈলনিৰুদ্ধ প্রশান্ত সাগরের ন্যায় দৃষ্ট হইতেছে। গিরিনদী অভ্যন্ত খরবেগ, সর্জ ও কদম্ব পুষ্প প্রবাছে ভাসিতেছে, জল ধাতু সংযোগে অতিশয় রক্তবর্ণ, ময়ূরগণ তীরে