পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধাকাণ্ড । > 8, তখন ছনুমান যুক্তিসঙ্গত বাক্যে কহিতে লাগিলেন, রাজনৃ ! উপকার বিস্মৃত না হওয়া তোমার পক্ষে বিস্ময়ের নহে । বীর রাম অপৰাদ-ভয় না করিয়া তোমার প্রিয়সাধনাৰ্থ দুৰ্জ্জয় বালিকে বিনাশ করিয়াছেন । সুতরাং এক্ষণে র্তাহার যে প্রণয়কোপ উপস্থিত, আমি তদ্বিষয়ে কিছুমাত্র সংশয় করি না, তিনি ভন্নিবন্ধনই শ্ৰীমান লক্ষণকে এস্থানে প্রেরণ করিয়াছেন। দেখ, এক্ষণে শরৎকাল অবতীর্ণ, সপ্তপর্ণ পুম্পিত হইতেছে, গ্রহ নক্ষত্র সকল নিৰ্ম্মল, আকাশে মেঘ দৃষ্ট হয় না, চতুর্দিক পরিষ্কৃত এবং নদ নদী ও সরোবরের জলও স্বচ্ছ ছইয়াছে । কিন্তু তুমি মদভরে ইহার কিছুই জানিতেছ না এবং এই সময়ে যে যুদ্ধের উদ্যোগ করিতে হইবে, তাহাও বুঝিতেছ না । মহাবীর লক্ষণ ভৌমার এই অমনোযোগ সুস্পষ্ট অনুমান করিয়া এই স্থানে আসিয়াছেন । রাম পত্নীবিরহে একান্তই কাতর, সুতরাং লক্ষণের মুখে ৰ্তাহার কএকটি কঠোর কথ। তোমার অবশ্য সহিতে হইবে । তুমি অপরাধী, এক্ষণে লক্ষণকে গিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে প্রসন্ন কর, তৎব্যতীত তোমার আর কিছুই শ্রেয় দেখি না । মহীপালকে সুপরামর্শ দেওয়া আধিক্কত. মন্ত্রিবর্গের কর্তব্য, ভজন্য আমি অকুষ্ঠিতমনে তোমায় এই অবধারিত কথা কছিলাম । রাম ক্রোধবশে দেবার সমস্ত বশীভূত করিতে