পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধাকাণ্ড । 이 ভূত ছইল, এবং উহার সন্নিহিত হইবামাত্র হর্ষে পুলকিত হুইয়া উঠিল । দেখিল, গর্তে নানা প্রকার জীবজন্তু আছে ; উহ দুর্দশ দুষ্প্রবেশ্য ও ভীষণ, যেন দানবরাজের নিভূত বলসের সম্যক উপযুক্ত স্থান। ... " অনন্তর হনুমান অরণ্যসঞ্চািরনিপুণ বানরগণকে কহিলেন, আমরা এই পাকবত্য প্রদেশ পর্য্যটন পূবক ক্লান্ত হইয়াছি, পিপাসায় অমাদিগের কণ্ঠ শুক্ল হুইয়া গিয়াছে । কিন্তু দেখ, এই বিলদ্বার হইতে হংস, সারস, ক্ৰৌঞ্চ ও চক্রবাকগণ জলদি দেহে নিস্কান্ত হইতেছে, এবং দ্বারস্থ বৃক্ষের পত্র গুলিও রসাদ্র। এই লক্ষণে স্পষ্টই বোধ হয়, গর্তের অভ্যন্তরে কুপ বা হ্রদ আছে । এক্ষণে আইস, আমরা ইহাতে প্রবেশ করি । অনন্তর সকলে ঐ গৰ্ত্তমধ্যে প্রবিষ্ট হইল। উহা অন্ধকারাচ্ছন্ন ও ভীষণ । ইতস্তত মৃগ, পক্ষী ও সিংহ সকল সঞ্চরণ করিতেছে । কিন্তু তন্মধ্যে বানরগণের দৃষ্টি তেজ ও পরীক্রম কিছুতেই প্রতিহত হইল না । উহারা ঐ গাঢ় তিমিরে পর স্পরকে ধারণ পূৰ্ব্বক বায়ুবেগে গমন করিতে লাগিল এবং রমণীয় স্থান ও নানা প্রকার বৃক্ষ নিরীক্ষণ করিতে করিতে এক যো জন অতিক্রম করিল । সকলের সংজ্ঞ বিলুপ্ত, সকলেই তটস্থ, পিপাসার্ভ ও জলাথী হইয়া অবিশ্রান্ত যাইতেছে ।"