পাতা:রামায়ণ - কিষ্কিন্ধাকাণ্ড (হেমচন্দ্র ভট্টাচার্য্য).pdf/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কিষ্কিন্ধাকাণ্ড । ২৪৯ প্রদক্ষিণ করিয়া ছিলাম। এখন আমি বৃন্ধ, গতিশক্তিও আর তাদৃশ নাই, যৌবনকালে আমার বলবীৰ্য্য অতি অদ্ভুতই ছিল । সংপ্ৰতি আমি এই অবধি যাইতে পারি, কিন্তু ইহাতে ও কার্য্য সিদ্ধি হইতেছে না । অনন্তর স্থবিজ্ঞ অঙ্গদ বুদ্ধ জাম্ববানকে সম্মান পূর্বক উদার বাক্যে কছিলেন, বীর ! আমিই এই বিস্তীর্ণ শত যোজন সমুদ্র পার হইতে পারি, কিন্তু আমার প্রত্যাগমনের শক্তি আছে কি না, সন্দেহ স্থল । - তখন জাম্ববান কছিলেন, রাজকুমার ! ভোমার গতিশক্তি যে অসাধারণ, আমি তাহা জানি । তুমি সহজে শত সহস্ৰ যোজন গমনাগমন করিতে পার , কিন্তু তোমার পক্ষে ইহা উচিত হইতেছে না । প্রভুই আজ্ঞা দিবেন, তাহীকে আদেশ করিতে কাহার সাধ্য আছে ? আমরা তোমার ভৃত্য, তুমি অর্ণমাদিগের ভীৰ্য্যার তুল্য, কেবল প্রভুভাবে বিরাজ করিতেছ। প্রভু যে সৈন্যের পক্ষে ভাৰ্য্যনির্বিশেষে পালনীয়, পূর্বাপর এইরূপ প্রসিদ্ধিই অাছে। দেখ, আমরা যে কাৰ্য উদ্দেশ কক্লিয়া আসিয়াছি, তুমি তাহার মূল ; কাৰ্য্যবিৎদিগের নীতিই এই যে, কাৰ্য্যমূল অগ্রে রক্ষা করা কৰ্ত্তব্য ; মূল থাকিলে সকল ফলই সিদ্ধ হইয়া থাকে । বৎস! তুমি আমাদিগের গুৰু ও গুৰুপুত্র, আমরা তোমাকেই আশ্রয় করিয়া কাৰ্য্য সাধন করিব - כסי